শেষ আপডেট: 2nd January 2025 07:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লিতে দেখা গেছে অতুল সুভাষ কাণ্ডের ছায়া। এক ক্যাফের মালিকের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। পুনীত নামের ওই যুবকের পরিবারের দাবি, মানসিক অত্যাচার করে তাঁকে সুইসাইড করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকী, তাঁর স্ত্রীই নাকি তাঁকে সেটা করার 'পরামর্শ' দিয়েছিলেন। এবার মৃত যুবকের স্ত্রীর পুরনো একটি পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য।
পুনীতের মৃত্যুর অন্তত সাতদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন তাঁর স্ত্রী মণিকা। তাতে লিখেছিলেন, 'বিষাক্ত এবং অভব্য আচরণ থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখন দিনদিন আরও ভাল থাকার এবং উন্নতি করার চেষ্টা করছি।' এছাড়া কারও নাম না নিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ক্ষমতাধারীরা সিদ্ধান্ত নেবে তাঁকে যে অত্যাচার করেছে তাঁর কী হবে!
এখানেই শেষ নয়। সম্মান এবং আত্মমর্যাদার প্রসঙ্গ তুলে লম্বা পোস্ট করেছিলেন মণিকা। লিখেছিলেন, 'পরিচারিকা থেকে শুরু করে ছোট একটি বাচ্চা, সকলেই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। একবার এক কাপুরুষ আমাকে বলেছিল, সম্মান এমনি পাওয়া যায় না, উপার্জন করতে হয়! সেটা আমি মানি না। সম্মান সকলকে দেওয়া উচিত। তাই জন্য তো ভারতে অচেনা লোকজনদেরও আমরা ভাই-দাদা-দিদি বলি, তাই না?' এই পোস্টেই মণিকা কারও নাম না নিয়ে উল্লেখ করেছিলেন, কেউ বদলায় না, তবে তিনি আশা করছেন তাঁর মতো কেউ একজন কাপুরুষের পাল্লায় পড়ে এত কষ্ট পাবেন না।
ইতিমধ্যে জানা গেছে, পুনীত এবং মণিকার মধ্যে ক্যাফের ব্যবসা নিয়ে মতবিরোধ ছিল এবং চলছিল ডিভোর্সের মামলাও। মৃতের বোন দাবি করেছেন, স্ত্রী মণিকা এবং তাঁর বাড়ির লোক মিলে দিনের পর দিন ধরে তাঁর ভাইকে গালিগালাজ করত, তাঁকে হুমকিও দেওয়া হত। ক্ষমতা থাকলে সে যেন সুইসাইড করে, এমনও বলা হত! এভাবেই মানসিক অত্যাচার করে তাঁর ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুনীতের বোনের।
পুনীতের মার কথায়, সে সচারচর তাঁর সমস্যা নিয়ে কথা বলত না। তাই তাঁরা সেভাবে কিছুই জানতে পারেননি। তবে এবার বুঝতে পারছেন, ছেলে গোপনে কত কী সহ্য করেছে। তাঁর কথায়, অত্যাচার করে মারা হয়েছে পুনীতকে।