শেষ আপডেট: 6 May 2024 10:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্হুমুর্হু ধেয়ে আসতে থাকে গুলি। সাবধান হওয়ার আগেই গাড়ির কাচ ঝনঝন করে ভাঙতে থাকে। জঙ্গিদের রাইফেল থেকে ছুটে আসা গুলি জওয়ানদের শরীরে বিঁধতে শুরু করে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে বায়ুসেনার গাড়িতে ঠিক পুলওয়ামার ধাঁচেই হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। শনিবারের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন বায়ুসেনার এক জওয়ান ভিক্কি পাহাড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। বায়ুসেনার আরও চার জওয়ান ওই হামলায় জখম হয়েছেন। ঘটনার পর পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। কিন্তু জঙ্গিদের খোঁজ মেলেনি। সেনার তরফে জঙ্গিদের মাথার দাম ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
পুঞ্চের সুরানকোটে এলাকার সানাই গ্রামে শনিবার ভারতীয় বায়ুসেনার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ধেয়ে আসতে থাকে গাড়ির দিকে। পাল্টা জবাব দেয় বায়ুসেনাও। তবে এই গুলির লড়াইয়ে জখম হন বায়ুসেনার পাঁচ জওয়ান। প্রত্যেকেরই শরীরে এক বা একাধিক গুলি লেগেছে। তাঁদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয় উধমপুর সেনা হাসপাতালে। সেখানে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে বায়ুসেনা সূত্রে খবর। শহিদ জওয়ানের নাম ভিক্কি পাহাড়ে। তাঁর বয়স ছিল ৩৩ বছর। তিনি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলার ননিয়া-কারবাল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এই বছরেরই ১৮ এপ্রিল তিনি বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন।
বায়ুসেনার কনভয়টি জারানওয়ালি গলি থেকে পুঞ্চের সানাই টপ হয়ে শহিস্তার টপে যাচ্ছিল। এই শাহিস্তার টপে বায়ুসেনার একটি ঘাঁটি আছে। সেই সময়ই যাত্রা পথে আচমকা হামলা করে জঙ্গিরা। বায়ুসেনা সূত্র জানাচ্ছে, কনভয় লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি গুলি চালানো হয়। কনভয়ে থাকা শেষ গাড়িটির উইন্ডস্ক্রিন লক্ষ্য করে প্রথম গুলিটি ছুটে এসেছিল পাহাড় চূড়ার দিক থেকে। এরপর এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করে। ১৫ মিনিটের মধ্যে ২০০টিরও বেশি গুলি ছোড়া হয়েছিল। বায়ুসেনা পাল্টা জবাব দিতে শুরু করলে জঙ্গিরা পাশের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।
শনিবারের সেই জঙ্গি হামলার দায় শিকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠনই। তবে দুই জঙ্গির স্কেচ সামনে এনেছে বায়ুসেনা। এই দু’জনকে খুঁজে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আগে থেকে ওই এলাকায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। বায়ুসেনার গাড়ি ওই এলাকা দিয়ে যাবে এমন খবর তারা আগে থেকেই পেয়েছিল। এখানে স্থানীয় কারও মদত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।