আটক হওয়া সেই গাইড - ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 25 April 2025 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের গুলি করার (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) আগে ধর্ম জিজ্ঞেস করেছিল জঙ্গিরা। মৃতদের পরিবারের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, স্থানীয়দের মদত ছাড়া এহেন হামলা করা সম্ভব ছিল না জঙ্গিদের পক্ষে। 'লোকাল সাপোর্ট' পেয়েই তারা বৈসরন ভ্যালিতে গেছিল। কিন্তু কারা এদের সাহায্য করেছিল? স্থানীয় ট্যুর গাইড বা ঘোড়া নিয়ে যারা পর্যটকদের ভ্যালিতে নিয়ে যান তাঁরা? সন্দেহ বাড়ছে। কারণ ইতিমধ্যে একজন গাইডকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে জঙ্গি হানা হয়েছিল। আর ২০ এপ্রিলই সেখানে গেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা একতা তিওয়ারি নামের এক তরুণী। তিনিই দাবি করেছেন, সন্দেহভাজন এক জঙ্গির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল! আসলে তিনি নাকি ঘোড়া নিয়েই ভ্যালিতে যাচ্ছিলেন। আর ওই ব্যক্তিই তাঁকে তাঁর ধর্ম কী তা জিজ্ঞেস করেছিল। ইতিমধ্যে হামলাকারী চার জঙ্গির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া এক গাইডের ছবিও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবি দেখেই তিনি পুলিশকে একথা জানান।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গন্দেরওয়াল থেকে আয়াজ আহমেদ জুঙ্গল নামের ওই গাইডকে আটক করেছে। ইতিমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই যুবক পহেলগাম জঙ্গিহানার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। তার কাছ থেকেই নানা তথ্য নিয়ে ওই জায়গায় গেছিল জঙ্গিরা। গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছেন যে, বৈসরন ভ্যালিয়ে বেশ কয়েকবার রেইকি করেছিল জঙ্গিরা। এই যুবক তাদের সাহায্য করতে পারেন বলে সন্দেহ।
একতা নামের ওই তরুণীর ফোনে এই যুবকের ছবি রয়েছে। তাতেই দেখা যায়, মেরুন রঙের একটি জ্যাকেট পরে ঘোড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে সে। তরুণীর দাবি, জঙ্গিদের মধ্যে এই যুবকও একজন। তাঁর এও বক্তব্য, ছবিটি বৈসরন ভ্যালিতেই তোলা হয়েছিল। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই যুবক যাদের দেখে পাকিস্তানি মনে হচ্ছিল তারা তাঁকে তাঁর ধর্ম জিজ্ঞেস করে। জানতে চায় তাঁর কোন ধর্ম ভাল লাগে - হিন্দু না ইসলাম। শুধু তাই নয়, আজমেঢ় যাওয়া পছন্দ করবেন, নাকি অমরনাথ, এই প্রশ্নও নাকি করেছিল তারা।
এছাড়া আরও বিস্ফোরক দাবি করেছেন তরুণী। পুলিশের কাছে তাঁর বক্তব্য, একজনকে তিনি ফোনে বন্দুক সম্পর্কে কথা বলতে শুনেছিলেন। একতা জানিয়েছেন, 'লোকটা ফোনে বলছিল - প্ল্যান এ ব্রেক ফেইল, প্ল্যান বি - ঘাসে ৩৫টি বন্দুক রাখা আছে।' দাবি, তিনি কথা শুনছেন মনে করে অন্য ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছিল ওই ব্যক্তি। তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত ওরাই জঙ্গি ছিল।