শেষ আপডেট: 12th March 2025 11:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবারই মদ কেলেঙ্কারি (Liquor Scam) মামলায় টাকা তছরুপের অভিযোগে ছত্তীসগড়ের (Chattisgarh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel) বাড়িতে দিনভর তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। তবে ফিরে আসার সময় গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের বিরুদ্ধে। এবার সেই ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধান অভিযুক্ত সানি আগরওয়াল এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করা এবং রাস্তা অবরোধের অভিযোগ-সহ একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের যে গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল সেই গাড়ির চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর দায়ের হয়েছে এফআইআর।
সোমবারই ছত্তীসগড়ের দুর্গ জেলার ভিলাই শহরে বাঘেলের বাসভবনে অভিযান চালায় ইডি। তাঁর ছেলে চৈতন্য বাঘেলের বিরুদ্ধে মদ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে এই তল্লাশি চালানো হয়। অভিযোগ, চৈতন্য বাঘেল মদ-দুর্নীতির মাধ্যমে আয় বহির্ভূত প্রচুর সম্পত্তির মালিক। সে জন্যই ইডি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী লক্ষ্মী নারায়ণ ও অন্য কয়েকজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়।
অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তল্লাশি অভিযান শেষ করে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসার পর মূল অভিযুক্ত সানি আগরওয়ালই একজন ইডি কর্মকর্তার গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলেন। এছাড়া বিক্ষোভকারী কংগ্রেস কর্মীরা ইডি আধিকারিকদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কয়েকজনকে গাড়ির উপরেও উঠে পড়তে দেখা যায়। সেই ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগ, সেই সময় সানি গাড়ির কাঁচে পাথর ছুড়ে মারে। চালক যেদিকে বসেছিলেন সেদিকেই পাথর মারার অভিযোগ ওঠে। ছত্তীসগড়ে মদ কেলেঙ্কারির তদন্তে শুক্রবার ইডির রায়পুর শাখা ২০৫ কোটি টাকার ১৮টি স্থাবর এবং ১৬১টি অস্থাবর সম্পত্তি অস্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করার পর এই অভিযান চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি মাসের ১৫ তারিখ ভূপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য বাঘেলকে তলব করা হয়েছে।
দুর্গ জেলার যে ১৪টি স্থানে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে তার মধ্যে ভূপেশ বাঘেল এবং তাঁর ছেলের বাড়িও রয়েছে। টানা আট ঘন্টা ধরে চলা এই অভিযানে একাধিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চৈতন্য ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, লক্ষ্মী নারায়ণ বনসাল ওরফে পাপ্পু বনসাল এবং অন্যান্যদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
২০২২ সালের মে মাসে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে একটি মামলার তদন্ত করেছিল আয়কর দফতর। ওই মামলার তদন্তে নেমে আবগারি দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযোগ উঠেছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ২,১৬১ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি হয়েছে। মদ ব্যবসা থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।