কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া
শেষ আপডেট: 25th October 2024 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি জমির প্লট বণ্টনে অনিয়মে যুক্ত থাকার অভিযোগে কর্নাটক পুলিশ শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী বিএম পার্বতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল। প্রায় চারঘণ্টা ধরে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাঁকে রাজ্য লোকায়ুক্তের মহিশূর অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। স্মরণকালের মধ্যে কোনও রাজ্যে রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী বা পরিবারের কাউকে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানোর নজির নেই। এরপর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁর পুলিশ বাহিনী তদন্তের জন্য ডাকবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্লট বণ্টনে অনিয়মে মূল অভিযোগ সিদ্দাকামাইয়ার বিরুদ্ধেই।
মহিশূর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্লট বণ্টনে সিদ্দারামাইয়া অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে থাকে লোকাযুক্ত। রাজ্যপাল এবং লোকায়ুক্তের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী নিয়ম ভেঙে স্ত্রীর নামে প্লট বরাদ্দ করেছেন।
ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। আর্থিক লেনদেনের মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিটি। পাশাপাশি বিজেপি সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবিতে সরব।
সিদ্দারামাইয়া যদিও পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। যদিও নিম্ন আদালতের পর হাই কোর্টে গিয়েও রেহাই মেলেনি তাঁর। হাই কোর্টের নির্দেশেই লোকয়ুক্ত-পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। বিরোধী দল বিজেপিই শুধু নয়, কংগ্রেসের একাংশও চাইছে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সরে দাঁড়ান সিদ্দারামাইয়া। স্বয়ং রাহুল গান্ধী এমনটা চাইছেন বলে খবর। সেই ভাবনায় নিজেই জল ঢেলে দেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা।
সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে বলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রায় দেয় কর্নাটক হাই কোর্ট। আদালত বলে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত মতো তদন্ত করবে লোকায়ুক্ত। হাই কোর্ট রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে আইনি ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেছে, দুর্নীতির প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হওয়া দরকার। বিশেষ করে তা যদি সরকারি পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে হয়।
টিজে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা নামে তিন জন-আন্দোলনকারী রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলতের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। মূল অভিযোগ, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতী ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এরফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ।