শেষ আপডেট: 1st February 2025 15:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছেন তা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই করা হয়েছে। এই বাজেট আমজনতার বাজেট, সবক্ষেত্র উপকৃত হয়েছে। এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, 'এই বাজেট সংস্কারের দিশা। কীভাবে মানুষের পকেট আরও ভরবে সেই দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।'
আয়কর ছাড় থেকে শুরু করে ওষুধের শুল্কে ছাড়, বিমা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধা থেকে নারীশক্তি, যুবসমাজ... সবক্ষেত্রে এই বাজেট নজর দিয়েছে বলেই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, 'ভারত বিকাশের দিকে আরও একধাপ এগোল। ১৪০ কোটি ভারতীয়র আশা-আকাঙ্খার বাজেট ছিল এটা। প্রত্যেক ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ হবে এই বাজেটে।'' মোদী এও বলছেন, বিকশিত ভারতের যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে তারও গতি বাড়িয়ে দেবে শনিবারের ঘোষণা।
গরিব-মধ্যবিত্তদের জন্য বাজেটে কী থাকে সেই দিকে লক্ষ্য ছিল সকলের। বাজেটে যে যে ঘোষণা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের সব দিক থেকে সুবিধা হবে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট কথা, এই বাজেটে একদিকে যেমন বিনিয়োগ বাড়বে, তেমনই সঞ্চয় বাড়বে। আর এসব হলে দেশের প্রগতিও যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং তাঁর টিম যারা এই বাজেটের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
বাজেট-বার্তায় পূর্ববর্তী সরকারকে কার্যত খোঁচাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, সাধারণত বাজেট এমনভাবে করা হত যাতে সরকারের কোষাগার ভরে। কিন্তু এই বাজেট সম্পূর্ণ উল্টো নীতিতে তৈরি হয়েছে। কীভাবে আমজনতার পকেট ভরবে সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। দেশের নাগরিকরা কীভাবে নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে পারবেন, সেদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কারা রয়েছেন এই বাজেট তৈরির নেপথ্য, সেই তথ্য ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর টিমে ছিলেন মূলত ৬ জন। তাঁরা হলেন চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ভি অনন্ত নাগেশ্বরন, এক্সপেডিচার সেক্রেটারি মনোজ গোভিল, ইকোনমিক অ্যাফেয়ার সেক্রেটারি অজয় শেঠ, ফিন্যান্স অ্যান্ড রেভেনিউ সেক্রেটারি তুহিন কান্ত পাণ্ডে, ডিআইপিএএম সেক্রেটারি অরুনিশ চাওলা এবং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্রেটারি এম নাগারাজু।