একসময় ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গুজরাতের। টুইটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শেষ আপডেট: 13 June 2025 07:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ধীর পায়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গেও দেখা করলেন তিনি। ঘটনায় শোকের ছায়া গুজরাটে। একসময় ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গুজরাতের। টুইটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
We are all devastated by the air tragedy in Ahmedabad. The loss of so many lives in such a sudden and heartbreaking manner is beyond words. Condolences to all the bereaved families. We understand their pain and also know that the void left behind will be felt for years to come.…
— Narendra Modi (@narendramodi) June 13, 2025
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সবাই আমদাবাদের এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ। এতগুলো প্রাণ এক মুহূর্তে এভাবে হারিয়ে যাওয়ার এই বেদনাকে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রইল। আমরা জানি, তাঁদের এই যন্ত্রণা কতটা গভীর এবং সেই শূন্যতা অপূরণীয়। ওম শান্তি।’
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়েছে এসে পৌঁছেছেন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেলও। রয়েছে ফরেনসিক দলও। স্নিফার ডগ নিয়ে এসে চলছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে আরও কেউ আটকে থাকতে পারে, এই সন্দেহ দূর করতে এখনও চলছে খোঁজ। এখনও মেলেনি ব্ল্যাক বক্সের হদিশ। সেই দিকে নজর রয়েছে সব দলের।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এলাকা, বলাই বাহুল্য। এখনও চলছে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ। বিদেশে থাকা যাত্রীদের পরিবারগুলিকেও ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, তাঁদের নমুনাও যত দ্রুত সম্ভব সংগ্রহ করা হবে।
গতকাল দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সরেজমিনে সবটা ঘুরে দেখেন। দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনিও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভেঙে পড়ার পর বিমানে থাকা বিপুল পরিমাণ জ্বালানি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠায় কোনও যাত্রীকে বাঁচানোর সুযোগই ছিল না।
অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন একমাত্র একজনই। ৩৮ বছর বয়সি রমেশ বিশ্বাসকুমার বুচারভাদা, যিনি ব্রিটিশ নাগরিক হলেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বসেছিলেন বিমানের ১১এ সিটে, যেটি ছিল একটি এমার্জেন্সি দরজার কাছাকাছি। তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন।
বিমানটিতে যে ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী। বিমানে মোট ১১ জন শিশু থাকার খবরও পাওয়া গিয়েছে। ১২ জন বিমানকর্মীও মারা গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনাকে ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।