উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
শেষ আপডেট: 19 April 2024 14:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশে প্রথম দফার ভোটের মধ্যে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে প্রচারে গিয়ে ফের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে 'যুবরাজ' কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, রাজ্যের মানুষ দুই তারকা রাজপুত্রের অভিনীত ছবি আর দেখতে চাইছেন না। আমরোহায় এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, এই দুই যুবরাজ ও বিরোধীরা আমাদের ধর্ম-বিশ্বাসকে আঘাত করছেন। স্বজনপোষণ, দুর্নীতি এবং মুসলিম তোষণের ঝুড়ি নিয়ে ঘুরছেন।
মোদী বলেন, উত্তরপ্রদেশের মাটিতে আবার দুই যুবরাজের অভিনীত ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছে। যা রাজ্যের মানুষ বাতিল করে দিয়েছেন। প্রতিবার এঁরা রাজ্যের মানুষের কাছে ভোট দিন বলে স্বজনপোষণ, দুর্নীতি ও মুসলিম তোষণের বস্তা ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ান। এইসব প্রচারে তাঁরা আমাদের ধর্ম-বিশ্বাসকে আঘাত করা ছাড়া আর কিছুই করেন না। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রাণ খুলে ভারত মাতা কি জয় পর্যন্ত বলতে পারেন না। এদিনের গোটা বক্তৃতায় মোদী কংগ্রেস ও সপাকে হিন্দুত্ব বিরোধী বলে প্রমাণের চেষ্টা করেন।
অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সপা এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন মোদী। বলেন, রামমন্দিরে আসার আমন্ত্রণ উপেক্ষা করেছে কংগ্রেস ও সপা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মতো অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল। এইসব লোক প্রতিদিন রামমন্দির এবং সনাতন ধর্মকে আক্রমণ করে চলেছে।
হিন্দুত্বকে উসকে দেওয়ার জন্য মোদী আরও বলেন, গোটা দেশ যখন রামচন্দ্রের সূর্যতিলক দর্শন এবং রামনবমী পালন করল, তখন এরা তাকে রাজনীতি বলে উপহাস করতে ছাড়েনি। কয়েকদিন আগে রাহুল ও অখিলেশ যৌথ সাংবাদিক করে মোদীকে ধর্মীয় মেরুকরণের কাঠগড়ায় দাঁড়ি করিয়ে তোপ দাগেন। তার জবাব দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের শাহজাদা ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণে পবিত্রভূমি দ্বারকায় সমুদ্রের নীচে আমার পুজো করা নিয়ে মজা করেছেন।
মোদী বলেন, বিহারে যাঁরা নিজেদের যদুবংশী বলে গর্ববোধ করেন, তাঁরা কীভাবে এই অপমান সহ্য করবেন! কেন এরকম একটা দলকে সমর্থন করবেন, প্রশ্ন করেন মোদী। এই রাজ্যের মাটি থেকে শ্রীকৃষ্ণ গুজরাতে গিয়েছিলেন। আমি সেই রাজ্যে জন্মেছি, এখন আমি কৃষ্ণ জন্মস্থানে রয়েছি। কাশী আমাকে লোকসভায় পাঠিয়েছে। কিন্তু, শাহজাদা হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করছেন কেবলমাত্র ভোট রাজনীতির কারণে।