শেষ আপডেট: 14th December 2024 18:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'খুবই দুঃখের যে স্বাধীনতার পর দেশের ঐক্য-সংহতির মূল মূল্যবোধ আক্রান্ত হয়েছিল।' কংগ্রেস বা কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার বলেন, যারা দাসত্বের মনোভাবে বেড়ে উঠেছিল, তারা দেশের ঐক্য ভাঙতে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিল। লোকসভায় সংবিধানের উপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বললেন, ভারত গণতন্ত্রের জননী। সংবিধানের ৭৫ বছর উপলক্ষে তিনি বলেন, এটা উৎসবের সময়। আমি খুশি যে, সংসদে এই উৎসব পালিত হচ্ছে। সংবিধান প্রণেতারা এটা ভাবেননি যে, ১৯৪৭ সালে ভারত নামে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে কিংবা এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁরা সুগভীরভাবে বিশ্বাস করতেন এই দেশের প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে।
আজ আমরা সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি পালন করছি। একথা বলে মোদী বলেন, আমরা যদি আজ পিছন ফিরে তাকাই, সংবিধানের ২৫ বছর পূর্তির বছরে তা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জরুরি অবস্থা জারি করে। গোটা ভারতকে জেলখানায় পরিণত করা হয়েছিল। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস তাদের মাথা থেকে এই কলঙ্ক মুছে ফেলতে পারবে না। সংবিধান নিয়ে যখনই কোনও আলোচনা উঠে আসবে, তখনই এ প্রসঙ্গও চলে আসবে।
সংবিধানের সাফল্য তুলে ধরে মোদী আরও বলেন, ভারতের সংবিধান দেশকে উল্লেখযোগ্য প্রগতির পথে দিশা দেখিয়েছে। এদেশের সংবিধান হল হাজার হাজার বছরের গৌরবময় ঐতিহ্যের প্রতীক। সংবিধান পরিষদের মহিলাদের সদস্যদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত প্রথম দিন থেকে মহিলাদের ভোটাধিকার দিয়েছে। ভারতের গণতন্ত্র গোটা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই আমি আজ সংবিধান প্রণেতাদের নতমস্তকে প্রণাম জানাই।
ধীরে ধীরে রাজনীতির দিকে এগতে শুরু করে মোদী বলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি করা হয়েছে। কারণ, এটা দেশের সংহতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ভারত খুব শীঘ্রই দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পা রাখবে। আমরা তখন স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি উৎসব পালন করব।