শেষ আপডেট: 4th October 2024 09:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিম এশিয়ার সংকটজনক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে হিজবুল্লাহ-ইজরায়েল-ইরানের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আলোচনায় ভারতের বাণিজ্য স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলেচনা হয়।
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে বিগত দশ বছরে ভারতের বাণিজ্য বেড়েছে। পাশাপাশি ওই প্রান্তের দেশগুলির মধ্য দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে ভারতের পণ্য আমদানি রপ্তানি চলে। এর আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে কৃষ্ণ সাগর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় বর্হিবাণিজ্য মার খায়। ইউক্রেন ভারত সহ বহু দেশে খাদ্য পণ্য রপ্তানি করে থাকে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে। রাশিয়ার সৈন্য ওই জলপথে অবরোধ তৈরি করে যুদ্ধ শুরুর পর। প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপে রাশিয়া অবরোধ তুলে নেয়।
মধ্য প্রাচ্যের সংকটে রাশিয়া এখনও সরাসরি যোগ দেয়নি। তবে তাদের মিত্র ইরানের বিপদ বাড়লে মস্কো বসে থাকবে না।
বৃহস্পতিবার ইরান দুশো মিশাইল নিক্ষেপ করে ইজরায়েলে। পাল্টা আক্রমণ শানায় নেতানিয়াহুর দেশ। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছ তাতে ফের একটি গাল্ফ ওয়ারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ইজরায়েল ইরানের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারে হামলার হুমকি দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত এখনও পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থান রক্ষা করে চলেছে। যদিও নয়া দিল্লিকে অস্বস্তিতে রেখেছে ইজরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত। অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে পুরনো চুক্তি মেনে। যুদ্ধের সঙ্গে র্এর সম্পর্ক নেই।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে নেতানিয়াহু ভারতের প্রশংসা করে ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু নয়া দিল্লি মনে করছে চলতি পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট ডেকে আনতে পারে, বাণিজ্য ঘাটতির কারণে। মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং প্রমুখের বক্তব্য শোনেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি বর্ণনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।