শেষ আপডেট: 15th May 2024 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'ধাপ্পাবাজের গুরুমশাই' বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। বুধবার তিনি বলেন, মোদী হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর মূল আদর্শ হল 'অসত্যমেব জয়তে'। মোদী যে ৪০০ পারের ঢেউ তুলেছেন তাকেও উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সোশাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান নেতা রমেশ। তাঁর মতে, কোথাও কোনও তরঙ্গ জাগেনি, বরং বিষ ছড়ানো হচ্ছে। রমেশের ভাষায়, লহর নেই, বরং জহর আছে।
একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রমেশ বলেন, তাকিয়ে দেখুন প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের আপাদমস্তক জুড়ে রয়েছে হিন্দু-মুসলিম। দেশের প্রতিটি মানুষ এটা জানে। দেখতেও পাচ্ছে। আজই তিনি বলেছেন, উনি যদি হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করতেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য হতেন না। সত্যিই তাই! আপনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন, বলেন রমেশ।
জয়রামের অভিযোগ, এরকম প্রধানমন্ত্রী কেউ কোনওদিন দেখেছেন, যিনি ভুল করেও একটি সত্যি কথা বলেন না। আমাদের জাতীয় প্রতীকের নীচে লেখা সত্যমেব জয়তে। উনি হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর মূল নীতি-আদর্শই হল অসত্যমেব জয়তে। ধাপ্পা মারো এবং শাসন করো। উনি হলেন ধাপ্পার গুরুঠাকুর।
জয়রাম রমেশের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচারে সাম্প্রদায়িকতা বিষ ছড়াচ্ছেন। ওনার মুখে বিষ। উনি সাম্প্রদায়িক ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথার মহামারি ছড়াচ্ছেন। ফলে আমি কোথাও কোনও লহর দেখতে পাচ্ছি না। যদি সত্যিই বিজেপির পালে হাওয়া থাকত তাহলে ওনার কথাতেই সেটা বোঝা যেত। এভাবে বারবার উনি বিভাজনের ভাষণ শুনিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভেদে অক্সিজেন জোগাতেন না।
রমেশ আরও বলেন, লোকসভা ভোটের প্রথম দুদফাতেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারত মে বিজেপি সাফ অউর উত্তর, পূর্বী অর পশ্চিম ভারত মে বিজেপি হাফ হয়ে গিয়েছে। রমেশের দাবি, চারদফায় ৩৭৯ আসনে ভোট হয়েছে। তাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিন ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী এখন যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, উনি চিন্তায় আছেন। ভয় পাচ্ছেন। সত্য হচ্ছে ওদের প্রচার কাজে লাগছে না। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। কেউ ভেবেছিলেন ২০০৪ সালে দেশে পরিবর্তন আসবে? কিন্তু, কারা সরকার গড়েছিল, কাদের দিকে ছিল জনসমর্থন, দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন রমেশ। অবশেষে তিনি দাবি করে বলেন, মানুষ মন বেঁধে ফেলেছে। ৪ জুনই মোদীকে বিদায় জানাবে দেশের মানুষ।