বিহারের মধুবনী স্টেশনে ধুন্ধুমার
শেষ আপডেট: 11 February 2025 12:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বারাণসীর পর এবার বিহার। প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠতে না পেরে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কাচের জানলা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন উন্মত্ত যাত্রীরা। সোমবার বিহারের মধুবনী স্টেশনে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর।
জানা গিয়েছে ভিড়ের চাপে এদিন উঠতে না পেরে স্বতন্ত্র সেনানি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসেই চলল তাণ্ডব। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানেই দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেনে একের পর এক পাথর ছুঁড়ে মারছেন। এসি কামরার কাচ ভেঙে দিচ্ছেন। ঘটনায় এক্সপ্রেসের মধ্যে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার বিহারের জয়নগর থেকে প্রয়াগরাজ হয়ে নয়াদিল্লি যাওয়ার পথে ট্রেনটি বিহারের মধুবনী স্টেশনে পৌঁছলে ঘটে যায় অঘটন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এদিন ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে থেকেই স্টেশনে ঠিকঠিক করছিল ভিড়। ট্রেনে হাতেগোনা কিছু যাত্রী উঠতে পারলেও অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ। এরপরই রাগ গিয়ে পড়ে ট্রেনের উপর।
Not all Biharis but always a Bihari ???? ✅
— Trains of India (@trainwalebhaiya) February 10, 2025
जयनगर से खुलने वाली स्वतंत्रता सेनानी, मधुबनी स्टेशन पर कुंभ जानी वाली यात्री सब AC बोगी का शीशा तोड़ दिया। pic.twitter.com/pIrCwwqZ0A
ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে দরজা খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। তারপরই ট্রেনে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের এসি কোচের মধ্যে দু’জন মহিলা বসে আছেন। তার মধ্যেই একজন যাত্রী কামরার কাচে পাথর মারছেন। উল্লেখ্য, সোমবারই বারাণসী স্টেশনে ট্রেনে জায়গা না পেয়ে লোকো পাইলটের কেবিনে উঠে পড়তে দেখা যায় কয়েকজন যাত্রীকে। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের জন্য অন্য কামরার ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি পড়েছে মাঘি পূর্ণিমা। এই দিনে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করতে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন। দলে দলে আরও পুণ্যার্থীরা আসছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। এদিকে ক্রমাগত ভিড় বাড়ায় কার্যত ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে প্রয়াগরাজে। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে গাড়ির লম্বা লাইন চোখে পড়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার রাতে পদপিষ্টের ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও এই ভিড় কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আর উত্তাল হচ্ছে।