শেষ আপডেট: 8th January 2025 15:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কমল যাবেন কমল বনে- মধ্যপ্রদেশে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথকে নিয়ে এমন জল্পনা ফের উসকে দিয়েছেন তিনি স্বয়ং। কমল অর্থাৎ পদ্ম শিবিরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে চর্চার মধ্যেই কমলনাথ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির এক বৈঠকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বলেছেন, 'আজকাল দলের বৈঠকের খবরও আমাকে দেওয়া হয় না। মিডিয়া থেকে জানতে পারি পার্টির বৈঠক ছিল।'
প্রবীণ নেতা আরও বলেছেন, 'সংগঠনে নতুন নিয়োগের বিষয়েও আমি অন্ধকারে। প্রবীণ নেতাদের মতামত নেওয়ার কালচার কংগেসে উঠে গেছে।'
দু বছর আগে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর থেকেই হাইকমান্ডের কুনজরে আছেন কমলনাথ। কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফিরতে না পারার জন্য কমলনাথের দিকেই আঙুল তোলে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের পর্যালোচনা বৈঠকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন প্রবীণ নেতা। পরিণতিতে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
বোঝাই যাচ্ছে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের একদা হাইপ্রোফাইল নেতা কমলনাথ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই নিশানা করেছেন। প্রবীণ মল্লিকার্জুন খাড়্গে সভাপতিমহলেও কংগ্রেস মহলের খবর মধ্যপ্রদেশের নেতা নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধীকে। যদিও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কমলের সম্পর্ক ছিল পারিবারিক। সঞ্জয় গান্ধীর ছায়া সঙ্গী কমলকে তাঁর তৃতীয় পুত্র বলতেন ইন্দিরা গান্ধী। রাজীবের সঙ্গেও ছিল হৃদ্যতার সম্পর্ক। রাহুলের সঙ্গেও কাকা-ভাইপো সম্পর্ক ছিল। তাতে ফাটল ধরে ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যপ্রদেশের এই নেতা নিজেকে গুটিয়ে রাখায়। কমল তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর দু'জনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ।
আশ্চর্যের হল, বিদ্রোহী কমলনাথ রাজ্য নেতৃত্বকে পাশে পেয়ে গিয়েছেন। এমনকী মধ্যপ্রদেশ থেকে ওয়ার্কিং কমিটির আর এক সদস্য দিগ্বিজয় সিং পাশে দাঁড়িয়েছেন কমলনাথের। বলেছেন, 'কমলনাথজি ভুল কিছু বলেননি। আমিও আজকাল দলের খবর পাই না।'
কমলনাথ, দিগ্বিজয়েররা রাজনৈতিক কেরিয়ারের শেষ লগ্নে আছেন। দলের কাছ থেকে বড় কিছু পাওয়ার নেই। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সহ একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক কমলনাথের কথায় সায় দিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, প্রবীণ নেতাকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস মহলের খবর, কমলনাথের বিদ্রোহের পরিণতি হতে পারে দলে আর এক দফা ভাঙন। বিধানসভা ভেটের আগেই কমলনাথ অনুগামীদের বড় অংশ বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। হাত শিবিরে আর এক দফা ভাঙনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।