শেষ আপডেট: 22 November 2023 08:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোটার কোচিং সেন্টারগুলি কি সত্যিই পড়ুয়াদের পড়াশোনার যোগ্য? নাকি সেগুলি এক একটা ফ্যাক্টরি? এই নিয়ে তর্কের শেষ নেই। কোটায় পড়তে গিয়ে একের পর এক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় বারবার এই প্রশ্ন উঠেছে। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলিকে। তবে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরই।
দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজস্থানের কোটার প্রবেশিকা কোচিং হাবগুলিতে পড়ুয়াদের উপর অযাচিত চাপ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে নয়, অভিভাবকদেরই দায়ী করতে হবে। একের পর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার জেরে কোটার বেসরকারি কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। তার শুনানিতেই এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “কোটার কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিকে দোষ দেওয়া যায় না। এর দোষ অভিভাবকদেরই। তাঁরা এই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে নিজেদের সন্তানদের উপর অযাচিত চাপ দিচ্ছেন, যা পূরণ করতে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে পড়ুয়ারা। এর ফলে নিজেদের জীবন শেষ করে দিচ্ছে।”
উল্লেখ্য, কোটাকে যেমন ‘এডুকেশন হাব’ বলে চেনেন সকলে, তেমন ‘সুইসাইড সিটি’ও বলেন কেউ কেউ। প্রদীপের নীচে অন্ধকারের মতো কোটার হস্টেলে হস্টেলে এটাই ছবি। চলতি বছরের হিসেব দেখলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। প্রায় ২৫ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে শুধুমাত্র এবছরেই। আর সবার আত্মহত্যার পিছনে কারণ মূলত একটাই, পড়াশোনার চাপ!
তবে আত্মহত্যার সংখ্যা শুধুই একটা অঙ্ক এখানে! কোটা সেই কোটাতেই আছে। আত্মহত্যা যতই বাড়ুক, কোটার গৌরব কোনও অংশে ম্লান হয়নি! না পারার অবসাদ, আত্মহত্যার মতো রূঢ় বাস্তব এখানে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। কোটায় ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠানোয় অভিভাবকদের যে প্রবণতা, তাতেও ভাটা পড়েনি। তাই পড়ুয়া যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আত্মহত্যার হারও।