Advertisement
ফাইল ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 April 2025 12:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনার (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তার মধ্যে দুটি সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল - সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা এবং আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত (Attari-Wagah Border) বন্ধ করে দেওয়া। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার এও নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার যে, পাকিস্তানিরা যেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যান। তবে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন ভারতে থাকা বহু পাকিস্তানি।
কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'সার্ক' ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের দেশ ছাড়তে ২ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। আর যারা সম্প্রতি ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ফেরার জন্য ১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। একই সঙ্গে, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সুতরাং দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই পাকিস্তানিদের। আর এতেই তারা কার্যত অখুশি।
সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে অনেক পাকিস্তানি বলছেন, 'সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সব সময়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। যা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না।' এক পাকিস্তানি আবার এও বলেছেন, 'পহেলগামে কে হামলা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অথচ আমাদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। এটা একদমই উচিত হচ্ছে না।' স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানিদের এই ধরনের মন্তব্যে ক্ষোভ বেড়েছে ভারতীয়দের।
তবে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধে কতটা চাপ বাড়বে পাকিস্তানের?
অমৃতসরের অদূরে রয়েছে এই আটারি সীমান্ত। এই একটিমাত্র রাস্তা দিয়েই স্থলপথে ভারতে বাণিজ্যের অনুমতি রয়েছে পাকিস্তানের। সয়াবিন, মুরগি, বিভিন্ন ধরনের সবজি, শুকনো লঙ্কা এবং সুতো-সহ একাধিক সামগ্রী ভারত থেকে পাকিস্তানে রফতানি করা হয়। এই পথে আফগানিস্তান থেকেও বিভিন্ন পণ্য ভারতে আমদানি করা হত। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থলপথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশি সমস্যায় পড়বে পড়শি দেশ।
যদিও জঙ্গি হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন এই হামলার পিছনে রয়েছে বলে ইতিমধ্যে স্বীকার করেছে। গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে পাক সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই রয়েছে বলেও দাবি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জঙ্গি হামলার ঘটনার বড় পদক্ষেপ করেছে ভারত।
Advertisement
Advertisement