শেষ আপডেট: 25th October 2024 21:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগ আগেই পেয়েছিল মুম্বই পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে এবার খুনের নেপথ্যে পাকি-যোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশের দাবি, এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনে মোট চারটি বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছিল। অত্যাধুনিক ওই বন্দুকগুলি ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে আনা হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে ধৃতদের বয়ান এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১২ অক্টোবর, শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার নির্মল নগরে ছেলে জিশানের অফিসের সামনে খুন হন এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। পুলিশের দাবি, প্রথমে ২ জনকে খুনের সুপারি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। তারা বাবা সিদ্দিকিকে খুন করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তারপর উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপ, গুরনেল সিং ও শিবকুমার গৌতমকে এই কাজের দায়ভার দেয় বিষ্ণোই গ্যাং। ঘটনার দিন বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে যে কনস্টেবল ছিলেন তাঁকে সাসপেন্ড করেছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে ইতিমধ্যে এটাও জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১০ বার সিদ্দিকিকে খুন করার চেষ্টা করেছিল আততায়ীরা! তবে প্রতিবারই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় নিশানা। কিন্তু ১২ অক্টোবর কোনও ভুল করেনি তারা। পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই খুন পরিকল্পনা মাফিক। ঘটনার ব্লু প্রিন্ট আগেই তৈরি করা ছিল। সেই মতো ঘটনাস্থল রেইকিই করেছিল আততায়ীরা।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, তিন আততায়ী কেউই মুম্বইয়ের বাসিন্দা নয়। ধৃত দু'জনের মধ্যে একজন, গুরমেইল বলজিৎ সিং (২৩) হরিয়ানা ও আরেকজন, ধরমরাজ রাজেশ কশ্যপ (১৯) উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। খুনের প্রায় এক মাস আগে থেকে মুম্বইয়ে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তারা। মাসিক ১৪-১৫ হাজার টাকা দিয়ে কুর্লা এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নেয়।
এরপর শুরু হয় রেইকি। ঘটনাস্থল রেইকি করা চলেছে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই। বাবা সিদ্দিকির বাড়ির লোকেশন, কাজের জায়গা ও তিনি কোথায় কোথায় যেতেন, কোথায় কখন থাকতেন, সব রেইকি করা হয়।