দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের ভারতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে (surgical strike operation sindoor) তাদের দেশের ২৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সে দেশের সেনা বাহিনী (Pakistan Army) । সেই সঙ্গে পাক সেনার জনসংযোগ দফতর দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধ বিমানকে ভূপাতিত করেছে। ইসলামাবাদের এই দাবি সম্পর্কে নয়াদিল্লি এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Pakistan Prime Minister Shabaz Sharif) নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক এখনও চলছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার শিকার হয় পাকিস্তানের অন্যতম প্রদেশ পাঞ্জাব। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম শরিফ প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন (emergency in Pakistan Punjab province)। তবে লাহোর (Lahore) ও করাচির (Karachi) আকাশপথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দুই শহরে স্কুল-কলেজ বন্ধ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বহু এলাকা থেকে মানুষ অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

পাক সেনার আন্তবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের ডিজি লেফ্ট্যান্যান্ট জেনালের আহমেদ শরিফ চৌধুরী ইসলামাবাদে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, ভারতের হামলায় ২৬ পাক নাগরিক নিহত হন। ঘটনাচক্রে যে সন্ত্রাসবাদী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রত্যাঘাত কাশ্মীরের পহেলগানে গত ২২ এপ্রিলে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬জনের প্রাণ গিয়েছিল। পাক সেনা সদরের দাবি, ভারতের গোলা ও গুলিতে আহত হয়েছেন ৪৬জন।

উল্লেখযোগ বিষয় হল, ভারতের আগের দুটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (surgical strike in 2016 and 2019) পর পাকিস্তান ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করেছিল। এমনকী বালাকোটে হামলার পর তারা দাবি করে ভারতীয় বিমান কয়েকটি খালি ভবনে হামলা চালিয়েছে। এবার উল্টো সুরে ইসলামাবাদ জনবহুল এলাকায় হামলার কথা দাবি করছে। একটি হাসপাতালেরও সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

পাকিস্তান সেনা বাহিনী এবং একাধিক মন্ত্রীর দাবি ভারতের হামলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পাল্টা হামলায় আকাশে থাকা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধ বিমান তারা ভূপাতিত করেছে। তার মধ্যে রাফায়লের মতো বিমানও আছে।