২২ এপ্রিল দুপুরে পহেলগামের বৈসরনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পর্যটকদের বেছে বেছে খুন করা হয়। ২৬ জন এতে প্রাণ হারান। তারপরের দিনই বিএসএফর কর্মী পূর্ণমকুমার পাঞ্জাবের পাঠানকোটের ফিরোজপুরে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ভুলবশত পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন।
প্রতীকি ছবি
শেষ আপডেট: 14 May 2025 16:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের ফেরার খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পাকিস্তানের যে রেঞ্জারকে ভারত আটক করেছে, তাঁকে ফেরত পাঠানো হবে কিনা। যে পরিস্থিতি দু'দেশের মধ্যে চলছিল শেষ কয়েকদিন ধরে, তাতে দুই তরফেই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে, বুধবার পূর্ণমকে ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়াঘা দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে রাজস্থানে আটক পাক রেঞ্জারকে। তিনিও ভুলবশত এদেশে ঢুকে পড়েছিলেন বলে জানা যায়। এক বন্দির বদলে আরেক বন্দিকে ছাড়া হল এক্ষেত্রে।
২২ এপ্রিল দুপুরে পহেলগামের বৈসরনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পর্যটকদের বেছে বেছে খুন করা হয়। ২৬ জন এতে প্রাণ হারান। তারপরের দিনই বিএসএফর কর্মী পূর্ণমকুমার পাঞ্জাবের পাঠানকোটের ফিরোজপুরে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ভুলবশত পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করেন সেদেশের বাহিনী।
এক্ষেত্রে 'ফ্ল্যাগ মিটিং' করে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা হয় এবং ভুলবশত কেউ ঢুকে পড়লে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পহেলগামের ঘটনার পরেরদিনই এমন হওয়ায় পরিস্থিতি একদম পূর্ণমের বিপক্ষে চলে যায়। ফলে তাঁর ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এই বিএসএফ জওয়ান বাংলার ছেলে, এরাজ্য থেকেও তাঁকে ফেরানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উত্তেজনার আবহে তা কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না।
উল্টোদিকে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানও মোহাম্মদ্দুল্লাহ নামের ওই রেঞ্জারকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করে।
অবশেষে ১০ মে, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হয় ও পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শিথিল হয়। পরে বুধবার দুই দেশের তরফেই দুই বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও সকালে আটারি-ওয়াঘা দিয়ে দুজনকে দুই দেশের প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগেও পাকিস্তানে দেশের অনেকেই আটক হয়েছেন। অভিনন্দন বর্তমান তার মধ্যে অন্যতম। তাঁকে ফেরানো নিয়ে বিরাট কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিল সরকারকে। তবে, সুস্থভাবেই তিনি দেশে ফেরেন।