ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 26 April 2025 07:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জঙ্গি নিধনে অ্যাকশন মোডে ভারতীয় সেনা (Indian Army)।
কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahalgam) নিরীহ পর্যটকদের হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি আসিফ শেখ ও আদিল হুসেন ঠোকারের বাড়ি বৃহস্পতিবার রাতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সেনা। এবার আরও তিন লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। একই সঙ্গে জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সেনা সূত্রের খবর, পুলওয়াম, কুলগাম ও সোপিয়ানে থাকা তিন জঙ্গি জাকির আহমেদ, এহসান উল শেখ এবং আদিল গুড়ির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেনা সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের মুরানে ছিল লস্কর জঙ্গি এহসান আহমেদ শেখের বাড়ি। শুক্রবার রাতে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে আরও দুই জঙ্গির বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। পহেলগামে পর্যটক হত্যায় এরাও জড়িত ছিল বলে সেনা সূত্রের খবর। এ ব্যাপারে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শুধু জঙ্গিদের বাড়ি ধ্বংস করা নয়, তাদের গ্রেফতার করাটাই মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে অভিযান চলছে।
গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপর থেকেই উপত্যকা জুড়ে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে সেনা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার রাতেও এলওসিতে গুলির লড়াই চলেছে। সবমিলিয়ে উপত্যকা জুড়ে বাড়ছে উত্তেজনাও।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুই জঙ্গি আসিফ শেখ ও আদিল হুসেনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সেনা। জানা যাচ্ছে, আদিল হুসেন ঠোকার আনন্তনাগ জেলার বিজবেহারা ব্লকের বাসিন্দা। পহেলগাম হামলার মূল অভিযুক্তদের একজন হিসেবে তার নামও উঠে এসেছে। এই হামলায় তাকেই ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকায় রেখেছে পুলিশ এবং কেউ তার খোঁজ দিলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে আদিল ঠোকার পাকিস্তানে গিয়েছিল এবং সেখানেই সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়। এর পরে গত বছর সে জম্মু ও কাশ্মীরে ফিরে আসে এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের স্থানীয় গাইড হিসেবে কাজ শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন পহেলগামে হামলা চালানো জঙ্গিরা বেশ প্রশিক্ষিত এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। ঠোকার তাদের কাশ্মীরে গাইড হিসেবে সাহায্য করছিল।
আসিফ ও আদিল ছাড়া এই মামলায় আরও দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তারা হল হাশিম মুসা ও ওরফে সুলেমান। সে পাক নাগরিক হলেও, গত এক বছর ধরে কাশ্মীরে সক্রিয়। তদন্তকারীদের মতে, কাশ্মীরে এর আগের অন্তত তিনটি হামলায় জড়িত মুসা। এছাড়াও আছে আলি তালহার নাম। জানা যাচ্ছে, সে প্রায় দু'বছর ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয়। সে মুসার পরে কাশ্মীরে আসে এবং শ্রীনগরের প্রান্তবর্তী দাচিগাম অরণ্যে লুকিয়ে অপারেশন চালাত।