Advertisement
সন্দেহভাজন জঙ্গি
Advertisement
শেষ আপডেট: 26 April 2025 11:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হানার ঘটনায় (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে চার সন্দেহভাজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের মধ্যে একজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা আদিল বলে জানা গেছে। তাকে নিয়েই এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্টুডেন্ট ভিসায় (Student Visa) কয়েকবছর আগে পাকিস্তান (Pakistan) গেছিল সে। তারপর ফেরে অন্তত ৪ জনকে নিয়ে। মনে করা হচ্ছে, ওই ৪-৫ জনই পহেলগামের হামলার সঙ্গে জড়িত।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে গেছিল আদিল। সেখানে প্রায় ৬ বছর ছিল। এরপর ২০২৪ সালে কাশ্মীর ফিরে আসে সে। তবে একা নয়, আদিলের সঙ্গে ছিল আরও ৪-৫ জন। অনুমান, বাকিরা লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট (টিআরএফ)-এর সদস্য হতে পারে। যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর, টিআরএফ নয় পাকিস্তানের কোনও জঙ্গি সংগঠনের লোক তারা। কারণ, আদিলের গ্রামে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, দেশ ছাড়ার আগেই আদিলের মধ্যে 'জঙ্গি মনোভাব' চলে এসেছিল।
পাকিস্তান পৌঁছনোর পর প্রথম ৬ মাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল আদিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। প্রায় ৮ মাস কোনও চিহ্নই ছিল না তার। অনুমান করা হচ্ছে, ওই সময়ই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ঘুলেমিলে গেছিল সে। ট্রেনিং নেওয়া থেকে শুরু করে সংগঠনের নানা কাজ করত আদিল। ৬ বছর ওইভাবে কাটানোর পর অবশেষে ৪-৫ জন জঙ্গিদের নিয়ে ভূ-স্বর্গে ফিরে এসেছিল সে। যাদের সঙ্গে কাশ্মীর ফিরে এসেছিল আদিল তাদের মধ্যে রয়েছে এক পাকিস্তানি, যার নাম হাশিম মুশা। মনে করা হচ্ছে, পহেলগাম হামলায় সেও সরাসরি যুক্ত।
নিরীহ পর্যটকদের হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি আসিফ শেখ ও আদিল হুসেন ঠোকারের বাড়ি বৃহস্পতিবার রাতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সেনা। আরও তিন লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার পরেই। একই সঙ্গে জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শুধু জঙ্গিদের বাড়ি ধ্বংস করা নয়, তাদের গ্রেফতার করাটাই মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে অভিযান চলছে।
Advertisement
Advertisement