Advertisement
ফাইল ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 April 2025 18:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) তাতে গুজরাটের তিন বাসিন্দাও নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন শৈলেশ কালাথিয়া। তাঁর স্ত্রী তো কোনওরকমে বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু এখনও আতঙ্ক গ্রাস করে রয়েছে তাঁকে। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, জঙ্গিদের মধ্যে কোনও অনুতাপ ছিল না। বরং তারা খুন করে হাসছিল।
শৈলেশ ছাড়া গুজরাটের আরও যে দুজন বাসিন্দা মারা গেছেন তাঁরা হলেন ইয়াতিস পার্মার এবং তাঁর ছেলে স্মিত। তিনজনের মৃতদেহ বৃহস্পতিবার বাড়িতে আনা হয় এবং তাঁদের শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে। শৈলেশের স্ত্রীর মানসিক অবস্থা কেমন থাকবে তা আন্দাজ করাই যায়। তবে তিনি ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা শিউরে ওঠার মতোই।
''খুব কাছ থেকে আমার স্বামীকে গুলি করে ওরা। পালানোর কোনও সুযোগই পাইনি। আমার স্বামীকে গুলি করে হাসছিল জঙ্গিরা। কোনও অনুতাপ ছিল না।'' সংবাদমাধ্যমে এমনই জানিয়েছেন শৈলেশের স্ত্রী। তাঁর আরও বক্তব্য, ''গুলির আওয়াজ পেয়ে আমরা সবাই লুকিয়ে পড়েছিলাম একটা টেন্টের পিছনে। তবে ২ জন জঙ্গি আমাদের খুঁজে পায়। তারা আমাদের নাম, ধর্ম জিজ্ঞেস করে। হিন্দু শুনতেই আমার স্বামীকে গুলি করে ওরা।'' এইভাবে বাকিদেরও গুলি করে জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে গেছিল জঙ্গিরা বলে জানান তিনি।
ঘটনার সময়ে ওই জায়গায় অন্তত ৩০ জন পর্যটক ছিল। প্রত্যেককেই জঙ্গিরা জিজ্ঞাসা করে তারা কে হিন্দু এবং মুসলিম। তারপর দুই ধর্মের মানুষকে আলাদা করে কলমা পড়তে বলা হয়। যারা পড়তে পারে তাদের ছেড়ে দেয় জঙ্গিরা, বাকিদের মেরে দেওয়া হয়। শৈলেশের স্ত্রীর কথা শুনে সকলেই যেমন একদিকে মর্মাহত, তেমনই ক্ষুব্ধ। পহেলগামের ঘটনা নিয়ে তো গোটা দেশ-বিশ্বেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পাঁচ-পাঁচটি পদক্ষেপ করেছে ভারত। জলচুক্তি থেকে শুরু করে সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা, ভিসা বাতিলের মতো কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজধানীতে আরও তত্রপরতা তুঙ্গে। সাউথ ব্লকে একদিকে একত্রিত হচ্ছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা, তখন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তবে কি এবার প্রত্যাঘাতের পালা? প্রশ্ন সব মহলে।
Advertisement
Advertisement