ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 5 May 2025 17:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিহানার ঘটনায় (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) স্থানীয়রা জড়িত রয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ৪ জন জঙ্গি যেভাবে বৈসরন ভ্যালিতে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করেছিল তা স্থানীয়দের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয় বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের। এক্ষেত্রে গাইড বা ঘোড়াচালকদের মধ্যে কেউ গোপনে তাদের বৈসরন ভ্যালি যেতে সাহায্য করেছিল বলে গোয়েন্দাদের মত। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তও চলছে। এবার এই একই দাবি করল স্লিপার সেলের (Sleeper Cell) প্রাক্তন এক সদস্য।
স্থানীয়দের অন্তত ৫-৬ জন জড়িত। তাদের সাহায্য ছাড়া এই কাজ করা জঙ্গিদের পক্ষে অসম্ভব। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে এমনই জানিয়েছেন স্লিপার সেলের ওই প্রাক্তন সদস্য। তাঁর সাফ কথা, কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর স্থানীয়রা যারা জড়িত তারা লাগাতার যোগাযোগ রেখে গেছিল জঙ্গিদের সঙ্গে।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, বৈসরন ভ্যালির জঙ্গল থেকে ৪ জন জঙ্গি ঘটনাস্থলের মূলত তিনটি স্পটে গেছিল যেখানে পর্যটকদের ভিড় একটু বেশি ছিল। তাদের কাছে বন্দুক তো বটেই, বডি ক্যামও লাগানো ছিল বলে খবর। ওই ক্যামেরাতেই তারা এই নারকীয় হত্যালীলা রেকর্ড করেছে! পুলিশ এবং সেনার পোশাক পরে থাকায় পর্যটকরা কেউ দূর থেকে তাদের দেখে থাকলেও সন্দেহ করেননি। এখন প্রশ্ন এই পোশাক তাদের কে দিল। এখানেও স্থানীয়দের যুক্ত থাকার যুক্তিই খাটে।
সাধারণ বাজারে পুলিশ এবং সেনার উর্দি চাইলেই বানানো যায়। মনে করা হচ্ছে, এক্ষেত্রেও স্থানীয় কাশ্মীরিরা জঙ্গিদের পোশাক জোগাড় করে দিতেও সাহায্য করেছেন। সংবাদমাধ্যমে ওই স্লিপার সেলের প্রাক্তন সদস্য বলছেন, ''অন্ধের মতো হামলা করতে চলে গেলাম, এটা হতে পারে না। এলাকায় কত সেনা রয়েছে, কোথায় কোথায় রয়েছে, তা না জেনে এই হামলা করা যাবে না। আর এক্ষেত্রেও সেই তথ্য জানা দরকার। হামলার আগে রৈইকি করাও ভীষণ জরুরি। পহেলগামের ঘটনাতেও এইগুলিই ঘটেছে।''
ঘটনার দিন দুপুর ১.৫০-এ প্রথম গুলি চলেছিল। তারপর টানা ১০ মিনিট এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ২৫ পর্যটক এবং এক কাশ্মীরিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। আহতরা জানিয়েছেন, নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞেস করেই তারা গুলি চালিয়েছিল। হত্যালীলা চালানোর পর ফের তারা জঙ্গলের দিকেই পালিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পর স্থানীয় পুলিশের কাছে খবর গেছিল। নীচ থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেও বেশ খানিকটা সময় লাগে। আহতদের দাবি, দ্রুত সাহায্য পাওয়া গেলে অনেককে হয়তো বাঁচানো যেত।