ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 4 May 2025 19:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২২ এপ্রিল দুপুর আড়াইটে নাগাদ গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে কাশ্মীরের পহেলগাম। বৈসরন উপত্যকায় ঘুরতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ যায় স্থানীয় এক পোনি চালক-সহ ২৬ জনের। এই ঘটনায় ফুঁসছে দেশ। প্রত্যাঘাতের দাবি উঠছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, সর্বত্র। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও জঙ্গিদের খুঁজে উচিত শিক্ষা দিতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে তিন সেনা। যেকোনও রকম পরিস্থিতিতে তারা প্রস্তুত লড়াই করতে।
রবিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে এয়ার চিফ মার্শালের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ৯০ মিনিটের ওই বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তারপরই এদিন বিকেলে দিল্লিতে 'সনাতন সংস্কৃতি জাগরণ মহোৎসব'-এ যোগ দিয়ে ফের পহেলগাম কাণ্ডে হুঙ্কার দেন। আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এদেশের দিকে চোখ তুলে তাকালে ছেড়ে কথা বলা হবে না।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, 'দেশের দিকে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছে তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। শত্রুদের ভাষাতেই তাদের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।'
প্রত্যাঘাত চাইছে দেশ। মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, দেশবাসী যা চাইছেন সেটাই হবে বলেও রবিবার জানিয়ে দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর ভাষাতেই বুঝিয়ে দেন, দেশ সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার দুপুরের বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ অভিযানে স্বাধীনতা’ (Full Operational Freedom) দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অর্থাৎ সেনা বাহিনী নিজেরাই নির্ধারণ করবে সঠিক সময়, পদ্ধতি এবং লক্ষ্য—কখন ও কীভাবে পহেলগাম হামলার জবাব দেওয়া হবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদী দেশের মন্ত্রিসভার দু'টি মূল কমিটির বৈঠকও আহ্বান করেছিলেন—ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) এবং ক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স (CCPA)। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ধারাবাহিক বৈঠকগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া হতে পারে কড়া এবং সুনির্দিষ্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভারত যে সরাসরি জবাব দিতেও প্রস্তুত, তা এই পরপর বৈঠকগুলি থেকেই স্পষ্ট। তাই বৈঠকের পর পরই রাজনাথ সিংয়ের এহেনও মন্তব্যও যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতপূর্ণ, তা বলা বাহুল্য।