পহেলগাম হামলার বদলা নিতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 17 May 2025 19:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগাম হামলার (Pahalgam Attack) বদলা নিতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। তার পাল্টা হামলা করেছিল পাকিস্তানও। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তুর্কি নির্মিত ড্রোন (Turkish Drone) দিয়ে হামলার চেষ্টা করেছিল পাক সেনা (Pakistan Army)। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়েছে। এতএব, বহু সংখ্যক ড্রোন যে ভারত ধ্বংস করেছে তা স্পষ্ট। কিন্তু সেই সংখ্যাটা কত, তা এবার জানা গেল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা গেছে, কমবেশি ৬০০টি ড্রোন ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। আর সেটাও পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাস্তানাবুদ করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এলওসি বরাবর ‘সুদর্শন চক্র’ ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছিল হাজারটি অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক, ৭৫০টি সর্ট রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল। তা দিয়েই ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তান তুর্কি নির্মিত ড্রোন এবং চিনা মিসাইল।
ভারতের মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিনে তৈরি পিএল-১৫ মিসাইলের টুকরো, তুরস্কের ইউএভি ‘ইহা’ এবং একাধিক রকেট, কোয়াডকপ্টার ও ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ। এতেই প্রমাণিত হয় যে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাশিয়ার এস-৪০০ থাকায় সেগুলিকে সহজে নষ্ট করা গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি এও জানান হয়েছে, মাত্র ২৩ মিনিটে পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে হারিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করতে ভারত মূলত যে যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স বন্দুক, জু-২৩এমএম বন্দুক, সিলকা বন্দুক সিস্টেম। পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে কোথাও পাশ কাটিয়ে, কোথাও আবার অকেজো করে হামলা করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। আর তাতেই চূড়ান্ত সফল হয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এও জানিয়েছে, 'অপারেশন সিঁদুর' মিশনের জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস’ নামের একপ্রকার আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছে আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বেড়ায় এবং হামলার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে।