শেষ আপডেট: 8th December 2023 20:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর অফিসে আয়কর হানা এবং দুশো কোটি টাকা উদ্ধার হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, ‘ওই টাকা সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ব্যবসায়ী ধীরজ শাহুর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের অফিসে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। শুক্রবারও তল্লাশি, হিসাবপত্রের কাজ চলবে। বৃহস্পতিবার ওই সাংসদের ওডিশার বোলাঙ্গিগের অফিসে হানা দিয়ে তাজ্জব বনে যান আয়কর আধিকারিকেরা। সাংসদের অফিসে দুটি আলমারির প্রতিটি তাকে টাকার বান্ডিল সাজানো ছিল। স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে মেশিন আনিয়ে টাকা গোনা শুরু হয়। বিপুল পরিমাণ টাকা গুণতে গিয়ে মাঝপথে একটি মেশিন খারাপ হয়ে যায়।
বিরোধী দলের সাংসদের হেফাজত থেকে হিসাব বহির্ভূত বিপুল অর্থ বাজেয়াপ্ত হওয়ার খবরটি হাতছাড়া করতে চাননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই সংক্রান্ত একটি খবর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুক্রবার বিকালে।
আসলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে এক নম্বর অস্ত্র করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকে দুর্নীতিগ্রস্থদের জোট বলে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। ছত্তীসগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জয়ে উৎফুল্ল প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই হানা দিচ্ছে, তিন রাজ্যে বিজেপির জয় তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা। ঠিক এমন সময়ই প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ইস্যুতে হাতে গরম ইস্যু পেয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদের অফিস থেকে দুশো কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায়।
কংগ্রেস নেতা ধীরজ সাহুর বাড়িতে আয়কর হানা! উদ্ধার ২০০ কোটি টাকা#IncomeTaxRaid #Congress #TheWallBangla pic.twitter.com/4SL6FE1n6T
— The Wall (@TheWallTweets) December 8, 2023
আয়কর দফতর শুক্রবার দুপুরে জানায়, নগদ টাকার পরিমাণ দুশো কোটি। সাংসদ ও তাঁর অফিস কর্মীরা টাকার উৎস জানাতে পারেননি। ওই টাকার জন্য সাংসদ আয়কর জমা দেননি। উৎস উল্লেখ না করায় সরকারিভাবে ওই অর্থ কালো টাকা হিসাবে গন্য হবে।
বিকালে কংগ্রেস সাংসদের অফিসে আয়কর হানা সংক্রান্ত একটি খবর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। খবরটিতে টাকা ভর্তি আলমারির ছবি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, দেশবাসীর এই খবরটি দেখা উচিৎ। সেই সঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘এই সব সৎ নেতারা কী বলেন, আর কী করেন তা বোঝা দরকার।’ সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই টাকা সাধারণ মানুষকে ফেরানো হবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’
প্রধানমন্ত্রী একথা বললেও আয়কর অফিসারেরা বলছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা আসলে সরকারি তহবিলে জমা হবে। তার আগে সাংসদকে টাকার উৎস জানাতে বলা হবে। আদালতের সামনে তিনি উপযুক্ত নথিপত্র দিয়ে টাকার মালিকানা এবং কেন নগদ অর্থ অফিসে রাখা হয়েছিল তার সদুত্তর দিতে না পারলে সরকারি তহবিলে তা জমা হয়ে যাবে। সেই তহবিলের টাকা তখন কোন খাতে খরচ হবে কেউ জানে না।