শেষ আপডেট: 5th July 2024 13:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতদের পোশাকের আমূল পরিবর্তন করা হল। নয়া বিধি অনুযায়ী পুরোহিতেরা আর গেরুয়া রঙের পোশাক পরতে পারবেন না। তাঁদের পরতে হবে, হলুদ বা পীতাম্বরী রঙের ধুতি, কুর্তা এবং পাগড়ি।
অযোধ্যায় রামলালার পূজারিরা একটা সময় হলুদ রঙের পোশাকই পরতেন। রাম মন্দির আন্দোলন তীব্র আকার নিলে হিন্দুত্ববাদী তথা গেরুয়া শিবিরের প্রভাবে পুরোহিতদের পোশাকের রঙও বদলে গিয়েছিল। এমনকী গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত পুজোয় অংশ নেওয়া পুরোহিতেরা গেরুয়া রঙের পোশাক পরেছিলেন।
অন্যদিকে, সনাতন ধর্মে হলুদ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। বলা হয়, হলুদ হল ভগবান বিষ্ণুর পছন্দের রঙ। রাম হলেন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। সনাতনীরা বিশ্বাস করেন, হলুদ হল পবিত্রতা এবং বিজয়ের প্রতীক। অনেক উপজাতি সম্প্রদায় বিশ্বাস করে হলুদ রঙের মন্দ আত্মাকে দূরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে।
নয়া পোশাকে বলা হয়েছে, পুরোহিতদের গোড়ালি পর্যন্ত কাপড় পরতে হবে। কুর্তায় বোতাম থাকবে না। কাপডের তৈরি দড়ি ব্যবহার করতে হবে বোতামের পরিবর্তে। ধূতি গিঁট দিয়ে পড়তে হবে। ধুতি পরার জন্য দড়ি ব্যবহার করা যাবে না। পাগড়ি এমনভাবে পড়তে হবে যাতে গোটা মাথা ঢাকা থাকে। নয়া বিধি নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পুরোহিতদের উপর আরও বিধি নিষেধ আরোপ হয়েছে, কেউ মোবাইল নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাধারণ দর্শনার্থীদের মন্দির পরিসরেই মোবাইল নিয়ে প্রবেশাধিকার নেই। মন্দিরেও প্রবেশাধিকার নেই তাদের। কিছুটা দূর থেকে মন্দির দর্শন করতে হয়। মোবাইল সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি একমাত্র পুরোহিতদের ছিল।
কেন পূজারিদের ক্ষেত্রেও মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল? মন্দির কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কথা বললেও মনে করা হচ্ছে ছাদ বেয়ে জল পড়া নিয়ে বিতর্কের জেরেই এই সিদ্ধান্ত। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস অভিযোগ করেছিলেন, ছাদ লিক করে এত জল মন্দিরের গর্ভগৃহে জমে গিয়েছে যে পূজা বিঘ্নিত হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ মানতে চাননি। শোনা যাচ্ছে, ওই ঘটনার জেরে প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাসকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। বয়সকেই এই ব্যাপারে হাতিয়ার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর এখন ৯০ বছর বয়স। যদিও তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলেই তাঁর ভক্তদের দাবি।