শেষ আপডেট: 8th August 2024 16:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ বোর্ড বিল যৌথ সংসদীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠাল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিল পেশের দিনেই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে সরকারপক্ষ। রিজিজু বিলের সমর্থনে বলতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লোকসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এই সংশোধিত বিল কঠোর এবং নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নিশানা করে করা হয়েছে। উল্টে সরকারপক্ষ এবং এনডিএ শরিক দল জেডিইউ ও তেলুগু দেশম পার্টি বিলকে সমর্থন জানিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল এই আইনকে কঠোর বলে বর্ণনা করেন। তাঁর অভিযোগ, এই আইন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করবে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকেও বিপন্ন করবে। ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিম সদস্যের নিযুক্তিরও বিরোধিতা করেন তিনি। বিভাজনের এই রাজনীতিকে দেশবাসী মেনে নেবেন না বলে তাঁর দাবি।
সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এদিন লোকসভায় বলেন, বিজেপির কট্টর সমর্থকদের খুশি করার জন্য এই বিল আনা হয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের আনার পিছনে রহস্য কী! দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের আরেক সদস্য মহিবুল্লা বলেন, মুসলিমদের প্রতি এটা অবিচার। আমরা বিরাট ভুল করতে চলেছি। এটা একটি ধর্মের প্রতি অন্যায়।
এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলের অভিযোগ, এই বিল আনার আগে সরকার কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি। তিনি এই বিলকে বৃহত্তর আলোচনার স্বার্থে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, এই বিল আমাদের দ্বিখণ্ডিত করবে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জায়গায় বিভাজন করবে। এই বিল প্রমাণ করে আপনারা মুসলিমদের শত্রু।
সরকারপক্ষ এর জবাবে সংসদে বলে, ওয়াকফ বোর্ড মাফিয়ারা দখল করে বসে আছে। এই বিলে কোনও ধর্মের অধিকারে নাক গলানো হচ্ছে না। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, এই বিলের সঙ্গে কোনও ধর্মকে জড়িত করা সদস্যদের উচিত নয়। আমরা বলিনি যে, অন্য ধর্মের কাউকে ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা হবে। বিলে রয়েছে, একজন সংসদ সদস্য বোর্ডের সদস্য হবেন।
তিনি আরও বলেন, বিরোধীরা মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছেন। অনেক মুসলিমই আমাকে বলেছেন, বোর্ড এখন মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে। অনেক সাংসদ যাঁরা বিরোধী রাজনীতি করেন, তাঁরাও আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের সমর্থন আছে এই বিলের প্রতি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাঁরা মুখ খুলতে পারছেন না।