ইন্ডিয়া জোটের ১৫টি দল কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধী।
শেষ আপডেট: 18 September 2024 12:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'এক দেশ, অভিন্ন ভোটের' বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার অনুমোদনকে 'গণতন্ত্র-বিরোধী বিজেপি'র 'সস্তা চমক' বলে ব্যাখ্যা করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে বুধবারই ইন্ডিয়া জোটের মুখ্য শরিকদল কংগ্রেসও মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেতকে লাল পতাকা দেখিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের ১৫টি দল কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধী।
হরিয়ানার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে কংগ্রস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, আমরা একে সমর্থন করছি না। আমাদের দেশের মতো গণতন্ত্রে এ নীতি কার্যকর হবে না। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যেখানে যখন প্রয়োজন, তখন নির্বাচন করতে হবে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, এটা কোনও বাস্তবসম্মত পথ নয়। এদেশের পক্ষে উপযোগী নয়। আসলে বিজেপি চাইছে বর্তমান সমস্যা থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে রাখতে।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়েন এদিন এক এক্সবার্তায় বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী মোদী-অমিত শাহর একটি অতুলনীয় জুমলা। একে গণতন্ত্র-বিরোধী বিজেপির অত্যন্ত সস্তা চমক বলেন ডেরেক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ভোট ঘোষণা হল না কেন? তার কারণ হল, এই জুনের বাজেটে মহারাষ্ট্রের সরকার লেড়কি বহিন যোজনা ঘোষণা করেছে। কিন্তু, প্রথম কিস্তির টাকা জমা পড়েছে অগস্টে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসবে অক্টোবরে। আপনারা তিন রাজ্যের ভোট একসঙ্গে করতে পারেন না, আবার গোটা দেশের ভোট একসঙ্গে করবেন! আমাদের বলুন, রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ বৃদ্ধি কিংবা হ্রাস করে কী করে সংবিধান সংশোধন করা যায়, প্রশ্ন ডেরেকের।
ইন্ডিয়া জোটের আরেক শরিক সিপিএম নেতা তথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, এক দেশ, অভিন্ন ভোট ব্যবস্থা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে। এটা বিজেপির গোপন কর্মসূচি যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সঁপে দেওয়া যায়। এতে বোঝা যায়, গত লোকসভা ভোটে যে ধাক্কা বিজেপি খেয়েছে, তাতেও তাদের শিক্ষা হয়নি।