Date : 21st May, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
Operation Sindoor: স্বর্ণমন্দিরে এয়ার ডিফেন্স গান মোতায়েনের কথা অস্বীকার সেনাবাহিনীরকান উৎসবে হাঁটতে ফ্রান্স পৌঁছলেন ঐশ্বর্যা, সঙ্গে এবারেও আরাধ্যা, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিওকলকাতায় 'মাদারহুড হসপিটালস'-এর ২৫তম হাসপাতাল, পূর্ব ভারতে মাতৃ ও শিশুসেবায় নতুন দিগন্তনতুন জীবন পেল কিশোর, বিরল নিউরো অস্ত্রোপচারে মৃগী সারল কলকাতার হাসপাতালেশাহরুখ তখনও 'কিং' হননি, পুরনো ছবি শেয়ার করে বন্ধু লিখলেন, '৩৫ বছর আগে সেই ট্রেন যাত্রায়...'ক্ষীরপাইয়ে দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৩, আশঙ্কাজনক আরও ১ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে ‘আনফলো' যশ-নুসরতের, জল্পনার পারদ চড়ছে টলিপাড়ায়IPL 2025: ফের চলল বৈভবের ব্যাট, বেলাইন চেন্নাই এক্সপ্রেসরবীন্দ্র সরোবরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ভরদুপুরে গাছ পড়ে মৃত্যু ফুল ব্যবসায়ীরশাহরুখ মধ্যবিত্তই রয়ে গেল, কোনও দামী ব্র্যান্ড ওকে খুশি করতে পারে না: অনুভব সিনহা
Operation Sindoor

Operation Sindoor: যোগ্য জবাব... বাবার মতো বাকিদের জীবন বৃথা যায়নি: পহেলগামে নিহতের মেয়ে

অপারেশন সিঁদুর-এর পর বাবাকে হারানোর ক্ষততে একটু হলেও যেন প্রলেপ পড়েছে বলে মনে করছেন তাঁর মেয়ে আশাবরী জাগদালে।

Operation Sindoor: যোগ্য জবাব... বাবার মতো বাকিদের জীবন বৃথা যায়নি: পহেলগামে নিহতের মেয়ে

পহেলগামে নিহত সন্তোষ জাগদালের মেয়ে আশাবরী

শেষ আপডেট: 7 May 2025 15:43

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলমা পড়তে না পারার অপরাধে স্ত্রী-মেয়ের চোখের সামনেই সন্তোষকে গুলি করে মেরেছিল জঙ্গিরা। অপারেশন সিঁদুর-এর পর বাবাকে হারানোর ক্ষততে একটু হলেও যেন প্রলেপ পড়েছে বলে মনে করছেন তাঁর মেয়ে আশাবরী জাগদালে।

২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন উপত্যকার হাসিখুশি মুহূর্ত নিমেষে বদলে গিয়েছিল বাঁচতে চাওয়ার আর্তনাদে। সেখানে সেদিন আরও অনেকের সঙ্গে পরিবারসহ ছিলেন পুণের সন্তোষ জাগদালেও। ওই দিনের ঘটনার পর গোটা পরিবার তছনছ হয়ে গিয়েছে।

সকালে আত্মীয়দের ফোন কল আসার পর আশাবরী জানতে পারেন অপারেশন সিঁদুর-এর কথা। মিশনের নাম শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। 

সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশাবরী জাগদালে জানান, ‘অপারেশনের নাম শুনে কান্না থামাতে পারছিলাম না। আমার এখন মনে হচ্ছে, যে বাচ্চারা তাদের বাবাকে হারিয়েছে, যাঁরা তাঁদের স্বামী হারিয়েছেন, যাঁদের প্রাণ গিয়েছে ওই ঘটনায়- তাঁদের জীবন বৃথা যায়নি। ভারতের এই জবাব তাঁদের প্রতি যোগ্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই যোগ্য জবাবের জন্য কৃতজ্ঞতাও জানান আশাবরী। ১৫ দিনের মাথায় এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারতের মানুষ ন্যায় পেয়েছে বলে করছেন তিনি।  

পহেলগামের অভিশপ্ত সেই দিনের রক্তমাখা জামা পরে আশাবরী সামিল হয়েছিলেন বাবার শেষযাত্রায়। শহরের একাংশ যেন নীরবে কেঁদে ফেলেছিল, হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল সন্তোষ ও তাঁর বন্ধু কৌস্তভ গানবোটের (তিনিও প্রাণ হারান জঙ্গিদের গুলিতে) প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

শোক, যন্ত্রণার, ক্ষোভের সেই দিনের বিরুদ্ধে আশাবরীর নিঃশব্দ প্রতিবাদ শুধু একজন মেয়ের নয়, বরং গোটা দেশের তরফে এক মুখর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাঁর রক্তমাখা পোশাক হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক মৌন চিৎকার। বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা চিরকালীন, তবু কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছেন আশাবরী।


ভিডিও স্টোরি