পহেলগামে নিহত সন্তোষ জাগদালের মেয়ে আশাবরী
শেষ আপডেট: 7 May 2025 15:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলমা পড়তে না পারার অপরাধে স্ত্রী-মেয়ের চোখের সামনেই সন্তোষকে গুলি করে মেরেছিল জঙ্গিরা। অপারেশন সিঁদুর-এর পর বাবাকে হারানোর ক্ষততে একটু হলেও যেন প্রলেপ পড়েছে বলে মনে করছেন তাঁর মেয়ে আশাবরী জাগদালে।
২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন উপত্যকার হাসিখুশি মুহূর্ত নিমেষে বদলে গিয়েছিল বাঁচতে চাওয়ার আর্তনাদে। সেখানে সেদিন আরও অনেকের সঙ্গে পরিবারসহ ছিলেন পুণের সন্তোষ জাগদালেও। ওই দিনের ঘটনার পর গোটা পরিবার তছনছ হয়ে গিয়েছে।
#WATCH | Pune | #OperationSindoor | "I cried a lot on hearing the name of the operation . It is a real tribute and justice to those who were killed by terrorists," says Asavari Jagdale, daughter of Santosh Jagdale, who was killed in Pahlagam terror attack pic.twitter.com/L6Wh7HivHM
— ANI (@ANI) May 7, 2025
সকালে আত্মীয়দের ফোন কল আসার পর আশাবরী জানতে পারেন অপারেশন সিঁদুর-এর কথা। মিশনের নাম শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশাবরী জাগদালে জানান, ‘অপারেশনের নাম শুনে কান্না থামাতে পারছিলাম না। আমার এখন মনে হচ্ছে, যে বাচ্চারা তাদের বাবাকে হারিয়েছে, যাঁরা তাঁদের স্বামী হারিয়েছেন, যাঁদের প্রাণ গিয়েছে ওই ঘটনায়- তাঁদের জীবন বৃথা যায়নি। ভারতের এই জবাব তাঁদের প্রতি যোগ্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই যোগ্য জবাবের জন্য কৃতজ্ঞতাও জানান আশাবরী। ১৫ দিনের মাথায় এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারতের মানুষ ন্যায় পেয়েছে বলে করছেন তিনি।
পহেলগামের অভিশপ্ত সেই দিনের রক্তমাখা জামা পরে আশাবরী সামিল হয়েছিলেন বাবার শেষযাত্রায়। শহরের একাংশ যেন নীরবে কেঁদে ফেলেছিল, হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল সন্তোষ ও তাঁর বন্ধু কৌস্তভ গানবোটের (তিনিও প্রাণ হারান জঙ্গিদের গুলিতে) প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
শোক, যন্ত্রণার, ক্ষোভের সেই দিনের বিরুদ্ধে আশাবরীর নিঃশব্দ প্রতিবাদ শুধু একজন মেয়ের নয়, বরং গোটা দেশের তরফে এক মুখর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাঁর রক্তমাখা পোশাক হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক মৌন চিৎকার। বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা চিরকালীন, তবু কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছেন আশাবরী।