অপারেশন সিঁদুর।
শেষ আপডেট: 7 May 2025 04:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর পরই বদলার প্রস্তুতি শুরু করেছিল ভারত। বুধবার ভোর রাতে সেই মোক্ষম জবাবটাই দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সাউথ ব্লকের কৌশলগত পরিকল্পনারই বাস্তব রূপ হল ‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)’।
১. মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একযোগে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা।
২. সেনা সূত্রের দাবি, এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে ‘বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ’ এবং ‘স্ট্যান্ড-অফ’ অস্ত্র, যার মাধ্যমে দূর থেকেই লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা সম্ভব।
৩. পাকিস্তানের মুরিদকে-তে লস্কর-ই-তোইবার প্রধান কার্যালয় এবং বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি ছিল ভারতের অন্যতম লক্ষ্য।
৪. সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই অভিযানে স্ট্যান্ডঅফ ক্রুজ মিসাইলও ব্যবহৃত হয়েছে। সেনার তরফে আরও জানানো হয়, এই অভিযান ছিল সুপরিকল্পিত, পরিমিত।
भारत माता की जय!
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) May 6, 2025
৫. পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোকে এই হানায় লক্ষ্য করা হয়নি, শুধুমাত্র জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করাই ছিল মূল লক্ষ্য।
৬. ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মাটি থেকেই একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষা হচ্ছে। পহেলগামে হামলার জবাবে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি ছিল। আমরা আগেই বলেছিলাম, যারা এই হামলার জন্য দায়ী, তাদের ছাড়া হবে না।”
৭. পাক সেনার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, তিনটি জায়গায় হামলা হয়েছে— দুটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবং একটি বাহাওয়ালপুরে। ভারতের এই হামলার জেরে পাকিস্তান ৪৮ ঘণ্টার জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।
"प्रहाराय सन्निहिताः, जयाय प्रशिक्षिताः"
— ADG PI - INDIAN ARMY (@adgpi) May 6, 2025
Ready to Strike, Trained to Win.#IndianArmy pic.twitter.com/M9CA9dv1Xx
৮. বুধবার ভোর রাতে এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় সেনা লিখেছে, “ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হল।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
৯. অপারেশন সিঁদুরের পর পরই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারী গুলিবর্ষণ শুরু করেছে। তার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতও। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, তবে ভারতীয় বাহিনী রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
১০. পাকিস্তানের ISPR-এর (Inter-Services Public Relations) তরফে বলা হয়েছে, “ভারতের এই সাময়িক আনন্দের জায়গায় স্থায়ী শোক আসবে।”