শেষ আপডেট: 18th October 2024 11:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দ্বিতীয়বার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিতর্কে জড়ালেন ওমর আবদুল্লাহ। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা চেয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন তিনি। কিন্তু নীরব থেকেছেন সংবিধান থেকে বিলোপ হওয়া ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে। যদিও ওই অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের দাবিকে সামনে রেখে ভোটে প্রচার করে ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার ২০১৯-এর ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক সুরক্ষা কবচ ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেয়। সেই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে। জম্মু-কাশ্মীরেরও পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে দেয় কেন্দ্র। তখন থেকেই এই ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করে আন্দোলন করে আসছিল কাশ্মীরের আঞ্চলিক দলগুলি। তাতে সামনের সারিতে ছিল ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরই ওমর কেন্দ্র বিরোধী সুরে লাগাম টেনে দেন। সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদ করে রাজ্যের কল্যাণ করা যায় না। আমি চাই কেন্দ্রকে পাশে নিয়ে রাজ্য পরিচালনা করতে। সরকারি সূত্রের খবর, অল্পদিনের মধ্যেই ওমর দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দাবি করে মন্ত্রিসভায় গৃহীত প্রস্তাবের কপি তাঁর হাতে তুলে দেবেন।
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের কাছে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। শীর্ষ আদালত মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি মেনে নিয়েছে। শীর্ষ আদালত গত বছর ডিসেম্বরে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের দাবির বিষয়ে তখন কোনও মতামত দেয়নি।
৩৭০ নিয়ে ওমরের নীরবতায় প্রশ্ন তুলেছেন পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ পারা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ন্যাশনাল কনফারেন্স যে ইস্যুতে ভোট চাইল, মানুষ তাদের সমর্থন করলস অথচ সেই ৩৭০ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীরব কেন?
ওমর অবশ্য বলেছেন, ৩৭০ নিয়ে তিনি বা দল অবস্থান বদলাননি। ওই দাবিতে দীর্ঘ লড়াই চালাতে হবে। বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালে সেই দাবি পূরণ হওয়ার নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভোটের আগে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁকে সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিতেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই ইস্যুতে প্রথম প্রস্তাবটি পাশ করানো হয়েছে।