সংগৃহীত ছবি
শেষ আপডেট: 13th April 2025 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলওয়ামায় শহিদ হন জওয়ান। সেসময় তাঁর কিশোরী মেয়ে ও স্ত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ঘটনার ছয় বছর পর কথা রাখলেন তিনি। দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন শহিদ হেমরাজের মেয়ে রীনা মীনার। মামার ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি গোটা বিয়ের অনুষ্ঠানে তদারকিও করেন তিনি।
শুক্রবার রাজস্থানের কোটার সাঙ্গোদ গ্রামে রীনার বিয়েতে পৌঁছন তিনি। কোটা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রও বটে। সেখানে কনের মায়ের ভাইয়ের ভূমিকায় হিন্দু রীতি ‘ভাত’ বা ‘মাইরা’ পালন করেন। আপাতত ভালবাসা, আশীর্বাদ ও প্রশংসা কুড়োচ্ছেন সকলের। তাঁর সঙ্গে এদিন বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজস্থানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী হীরালাল নাগরও।
संसदीय क्षेत्र के सांगोद (कोटा) में शहीद हेमराज मीणा जी व बहन वीरांगना मधुबाला जी की सुपुत्री रीना के विवाह के शुभ अवसर पर मायरा भरने का सौभाग्य प्राप्त हुआ। मन गर्व और आनंद से अभिभूत है कि हमारी बिटिया रीना अब अपने नए जीवन की शुरुआत करने जा रही है। यह अवसर न केवल परिवार के लिए… pic.twitter.com/PM8gihNb8b
— Om Birla (@ombirlakota) April 11, 2025
২৫ বছর বয়সি রীনা মীনার বাবা হেমরাজ ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলায় শহিদ হন। হিন্দু বিয়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী, ‘ভাত’ বা ‘মাইরা’ হল এমন একটি রীতি, যেখানে ভাই তাঁর বোনের মেয়ের বিয়েতে উপহার ও আশীর্বাদ নিয়ে উপস্থিত হন। এই রীতিতেই শহিদের স্ত্রী মধুবালার ভাই হয়ে উপস্থিত হন ওম বিড়লা। তিনি এবং হীরালাল নাগর মধুবালাকে উপহারস্বরূপ একটি ওড়নি এবং অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেন। মধুবালাও ভাইয়ের মর্যাদা দিয়ে তাঁদের কপালে তিলক দেন ও আরতি করেন।
মধুবালার ভাইয়ের মতোই সমস্ত সামাজিক দায়িত্ব পালন করেন লোকসভার স্পিকার। প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। জানান, শহিদ হেমরাজের আত্মত্যাগ দেশের গর্ব, তাঁর পরিবারের পাশে থাকাটা কর্তব্য ও ভালবাসার জায়গা থেকেই আসে।
শুধু এই অনুষ্ঠানই নয়, গত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি রাখী পূর্ণিমায় ওম বিড়লা হেমরাজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। পরিবারটির সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এইভাবে।