শেষ আপডেট: 23rd October 2024 12:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবারই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। তার আগে এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সহ ওড়িশায়। 'দানা'র ল্যান্ডফল হওয়ার কথা পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে। ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে বাংলার প্রশাসন তো ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। ওড়িশা সরকারও প্রস্তুত। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি উদ্ধারকারী দল তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। ঠিক কোন কোন জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার কথা তার একটা ইঙ্গিত মিলেছে।
বাংলা, ওড়িশা ছাড়াও তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে ও সাগরদ্বীপ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে 'দানা'। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে রয়েছে এটি। ল্যান্ডফল হওয়ার সময়ে তার গতিবেগ থাকতে পারে ১১০-১৩০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা।
হাওয়া অফিস বলছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক সহ পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের। বাড়বে বৃষ্টির দাপটও। এই সময় ১০০-১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে বালেশ্বেরে হাওয়ার গতিবেগ সবথেকে বেশি থাকবে। ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল তৈরি করা হয়েছে ওড়িশার প্রশাসনের তরফে। ১৪ জেলায় স্কুল বন্ধের পাশাপাশি ২০০-র বেশি ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তাই যারা সমুদ্রে রয়েছে তাদেরও তড়িঘড়ি ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে উপকূলের এলাকাগুলিতে। পুরী থেকে পর্যটকদের সরানো হয়েছে। একই চিত্র ধরা পড়েছে দিঘাতেও।