শেষ আপডেট: 19th July 2024 18:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরীর জগন্নাথদেবের 'নীলাদ্রি বিজে' বা রথযাত্রার শেষে শ্রীমন্দিরে পুনঃপ্রবেশের দিন উৎসাহভরে ওড়িশায় পালিত হল রসগোল্লা দিবস। রসগোল্লার আবিষ্কার নিয়ে বাংলা-ওড়িশা দুই রাজ্যই কলার উঁচু করলেও রসে টইটম্বুর এই মনমজানো ছানার গোল্লাটির জন্ম কলকেতেতেই। যদিও ২০১৯ সালে রসগোল্লার জন্মস্থল হিসেবে জিআই সম্মান জোটে ওড়িশার কপালেই।
যদিও ওড়িশার কথিত আছে, রথযাত্রায় মা লক্ষ্মীকে মাসির বাড়িতে না নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি অভিমান করেন। রথ শেষে যখন জগন্নাথ ফিরে আসেন, তখন লক্ষ্মীদেবী সদর দরজায় তালা দিয়ে রাখেন। অগত্যা বাইরে রথেই দিন কাটাতে হয় প্রভুকে।
অবশেষে এই রসগোল্লা দিয়েই লক্ষ্মীর মন মজান জগন্নাথ। দিনটিকে ওড়িশায় নীলাদ্রি বিজে উৎসব বলা হয়। ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই থেকে ওড়িশাবাসী এই পবিত্র দিনটিকে রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এইদিন মন্দিরে ঢোকার আগে জগন্নাথকে রসগোল্লা ভোগ দেওয়া হয়।
গবেষক অসিত মহান্তি বলেন, রসগোল্লার জন্ম পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। ক্ষীরমোহন নামে। পরে বিবর্তনের মাধ্যমে এটা 'পহলা রসাগোলা' হয়। মন্দিরে লক্ষ্মীদেবীকে এই দিয়েই ভোগ দেওয়া হয়। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে ওড়িশায় রসগোল্লার নাম আসে ১৫ শতকে বলরাম দাস রচিত ওড়িয়া রামায়ণে।
দিনটিকে স্মরণে রাখতে প্রখ্যাত বালু-শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক একটি বালু শিল্প এদিন সকালে এক্স পোস্টে আপলোড করেছেন। সেখানে জয় জগন্নাথ লিখে এই পবিত্র নীলাদ্রি বিজে এবং রসগোল্লা দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পুরীর মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিল্পী। দুটি শিল্পকৃতিই আজ, শুক্রবার পোস্ট করেছেন সুদর্শন পট্টনায়ক।