Date : 12th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
Eng vs Ind: বুমরাহর দাপটের পর ভারতকে টানছে রাহুল-পন্থ জুটিঘটকালির ছকে প্রেমের ফাঁদ! ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয়, ৪৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পগারপার পাত্রফের শহরে সিভিক ভলান্টিয়ারের 'দাদাগিরি'! ৬টি ধারায় মামলাভিন্ন ধর্মে বিয়ে, মেয়ের কুশপুতুল দাহ করলেন বাবা, চাঞ্চল্য রাজগঞ্জেস্ত্রীকে নির্যাতন, পরকীয়ার অভিযোগে পদ খোয়ালেন তৃণমূল ব্লক সভাপতিরাস্তায় যৌন হেনস্থা, ঠাটিয়ে চড় ফতিমাকে! শিউরে ওঠা ঘটনার বিবরণ দিলেন অভিনেত্রীচিকিৎসককে হুমকি, কাঞ্চনের 'অপরাধ' দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি! দিলেন ব্যাখ্যাওWorld Kebab Day: আজ বিশ্ব কাবাব দিবস, সপ্তাহান্তে লোভাতুর বাঙালির জন্য রইল শহরের ৫ দোকানের হদিসLocal Trains Cancel: আবার একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরাছিল তিন, হল চার, পুজোর ছবিতে নাটকীয় এন্ট্রি নিলেন দুঁদে গোয়েন্দা! চিন্তায় প্রযোজকরা
Pune Bridge Collapse

পুণের সেতু বিপর্যয় যেন 'ম্যানমেড'! পরিকাঠামোগত অডিটের বালাই নেই, ভিড় নিয়ন্ত্রণেও গাফিলতি

পুনেতে ইন্দ্রায়নী নদীর উপর ৩০ বছর পুরোনো একটি সেতু ভেঙে পড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০ জনের বেশি আহত হন। সেতুর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অতিরিক্ত ভিড়কে দায়ী করা হচ্ছে।

পুণের সেতু বিপর্যয় যেন 'ম্যানমেড'! পরিকাঠামোগত অডিটের বালাই নেই, ভিড় নিয়ন্ত্রণেও গাফিলতি

পুণের সেতু বিপর্যয়ে মৃত চার।

শেষ আপডেট: 16 June 2025 05:27

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৩০ বছর পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে বড় বিপর্যয়। রবিবার, মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার তালে‌গাঁও সংলগ্ন কুন্দমালায় ইন্দ্রায়নী নদীর উপর সেতুতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ছিলেন ভেঙে পড়ার সময়। তাঁদের বেশিরভাগই নদীতে পড়ে যান। অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সোমবার সকালে ১৫ ঘণ্টার দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের পর অভিযান শেষ হয়েছে। মোট ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মিলেছে।

কেন ভাঙল সেতু?

সেতুটি মোট ৪৭০ ফুট দীর্ঘ। প্রথম অংশটি ৭০–৮০ ফুট লম্বা পাথরের ঢালু, তারপর দুটি ১০০ ফুট দীর্ঘ লোহার অংশ এবং একটি ২০০ ফুটের সিমেন্টের অংশ রয়েছে। প্রস্থ মাত্র চার ফুট। একসঙ্গে বড়জোর একটি বাইক ও দু'জন মানুষ পার হতে পারে। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় সেতুতে ৭–৮টি মোটরবাইক ছিল এবং তার সঙ্গে ভিড় ছিল শতাধিক মানুষের।

সেখানে একটি সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড থাকলেও তাতে কেউ গুরুত্ব দেননি। বর্ষাকালের প্রবল বৃষ্টিতে নদী স্রোতও ছিল তীব্র।

অভিযোগ ও অবহেলা

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে কুন্দমালায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রতি সপ্তাহান্তে প্রায় আট হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করতেন, অথচ সেতুটি সেই চাপ নেওয়ার মতো পোক্ত ছিল না। সেতুতে অনেক গর্তও ছিল, যা ঢাকতে স্থানীয়রা সিমেন্ট ব্লক ব্যবহার করতেন।

দু’বছর আগে স্থানীয় গ্রামবাসীরা গণপঞ্চায়েত ও জন নির্মাণ দফতরকে লিখিতভাবে সেতু সংস্কারের অনুরোধ জানান। তবু কোনও কাঠামোগত নিরীক্ষা করা হয়নি।

প্রশাসনিক দায় ও রাজনৈতিক অবহেলা

২০২৪ সালে বিজেপি বিধায়ক তথা মন্ত্রী রবীন্দ্র চৌহান সেতু সংস্কারের জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। কিন্তু সেই অর্থ কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি ২০১৭ সালেই প্রাক্তন বিধায়ক দিগম্বরদাদা ভেগডে নতুন সেতুর দাবিতে সরকারকে চিঠি লেখেন এবং বিষয়টি সংসদেও তোলেন। কিন্তু প্রশাসন তাতেও সাড়া দেয়নি।

দুর্ঘটনার আগেই সতর্কবার্তা

এমনকি রবিবার দুপুর ১২:৩০ নাগাদ এক স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সেতুর উপর অতিরিক্ত ভিড়ের কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে তিন পুলিশ অফিসার এসে জনতাকে সরিয়ে দেন। কিন্তু তাঁদের চলে যাওয়ার পরপরই ফের ভিড় জমে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেতুটি দুলতে থাকে এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।

চোখের সামনে মৃত্যু, জলের সঙ্গে লড়াই

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে জলে লড়াই করে একটা পাইপ ধরে কোনওভাবে উঠতে পেরেছেন কেউ কেউ। আরেকজন জানান, ৫০ জনের বেশি মানুষ সেতুতে ছিলেন। অনেকে বাইক ও স্কুটার সেতুতে রেখেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। সতর্কতার সাইনবোর্ড কেউই মানেননি।

ফলে সব মিলিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেতু বিপর্যয়ের পিছনে শুধুই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, প্রশাসনিক অবহেলাও স্পষ্ট। যে ঝুঁকির কথা আগে থেকে জানা ছিল, তাতেও কোনও রকম মনোযোগ দেওয়া হয়নি। কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে কেউ ভাবেইনি, অডিট দূরের কথা। বারবার আবেদন, বরাদ্দ অর্থ, সতর্কতা সত্ত্বেও যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই ধরনের ঘটনা বারবারই ঘটবে বলে অভিযোগ।


ভিডিও স্টোরি