শেষ আপডেট: 8th March 2025 15:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৫ দিন পার হয়ে গেছে। এখনও তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গের ধসে (Telangana Tunnel Collapse) আটকে পড়া শ্রমিকদের (Workers) হদিশই পাচ্ছে না উদ্ধারকারী দল! স্নিফার ডগ ব্যবহার করে দুটি সম্ভাব্য জায়গার চিহ্নিত করেছে তাঁরা। কিন্তু সেই জায়গাতেও শ্রমিকরা রয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তাই ওই শ্রমিকদের বাঁচার আশা আরও ক্ষীণ হল, তা বলাই যায়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হলেও উদ্ধারকারী দলের কাছে এখনও কোনও উত্তর নেই। সুড়ঙ্গের ভিতরে অনেকটাই ঢুকতে পেরেছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু আটকে থাকা শ্রমিকদের কোনও সাড়া-শব্দই পায়নি তাঁরা। তাই কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা, সন্দেহ বাড়ছে।
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনা, রেলের টিম পর্যন্ত নেমেছে উদ্ধারকাজে। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছে ব়্যাট মাইনার্সের দল। মোট ৭০০ জন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে নিটফল সেই শূন্য। আসলে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুড়ঙ্গ থেকে বেরনো কাদা মাটি, জল। তার জেরে বেশি ভিতরে এগোতেই পারছেন না উদ্ধারকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এইভাবে জল-কাদা টপকে ভিতরে জোর করে ঢুকতে চাইলে প্রাণ সংশয় থাকবে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদেরই।
শ্রীশৈলম বাঁধের সুড়ঙ্গের ঠিক কোনও অংশে শ্রমিকরা আটকে রয়েছে তা জানতে পারলেও যে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে, এমনটা নয়। কারণ জল-কাদার জেরে সেই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সুড়ঙ্গের শেষ ২৫ থেকে ৩৫ মিটার পুরোপুরি জল-কাদায় ভরে রয়েছে। তা সরানোর কাজ শুরু হলেও ফাঁকা করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই মুহূর্তে লাগাতার এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরার মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে রোবোটিক ক্যামেরা।