সংসদে নীতীশ কুমার।
শেষ আপডেট: 25th July 2024 10:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ফের আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। এবার বিধানসভায় আরজেডির এক মহিলা বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে অসম্নানজনক মন্তব্য করার বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছে তাঁকে।
বিহার বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাজ্যে সংরক্ষণের কোটা কেন ৫০ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ শতাংশ করা হচ্ছে না তা নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে চেপে ধরেছিল। গত বছর বিধানসভায় আইন পাশ হওয়া সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় বিরোধী আরজেডি সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে। বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব ভাষণ দেওয়ার সময় সভায় প্রবেশ করেন তাঁর দলের বিধায়ক রেখা পাসোয়ান। তিনি আসনে বসেই ফের উঠে দাঁড়িয়ে তেজস্বীর সমর্থনে মুখ খোলেন। সঙ্গে সঙ্গে নীতীশ কুমার নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে রেখাকে বলেন, আপনি একজন মহিলা। আপনি কী বোঝেন সংরক্ষণের!
ফাউল করেছেন বুঝে নীতীশ পরক্ষণেই দাবি করতে থাকেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্যে মহিলাদের কোনও সম্মান ছিল না। যদিও ২০০০ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি রাবড়ি দেবীর স্থলাভিষিক্ত হন।
মহিলা বিধায়ক সম্পর্কে নীতীশের মন্তব্যে উত্তাল হয়ে ওঠে সভা। অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বিরোধীরা। ফের চর্চায় চলে আসে নীতীশের মানসিক সুস্থতার বিষয়টি। গত বছর বিধানসভায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনায় নীতীশ রাজ্যের মহিলাদের উদ্দেশে বলে বসেন, রাতে বিছানায় অন্তরঙ্গ মুহূর্তে স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কী ধরনের আচরণ করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই সব কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে।
সেখানেই থেমে যায়নি নীতীশের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আলোচনা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি মঞ্চে উপস্থিত নেতা-মন্ত্রীদের নাম ভুল বলেছেন। বিজেপির সমর্থনে ফের সরকার গড়ার পর একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পা ছুঁয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অস্বস্তিত চাপা থাকেনি।
বুধবারের ঘটনার পর আরজেডি ফের দাবি তুলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ডাক্তার দেখানো। সূত্রের খবর, নীতীশের মানসিক অসুখের চিকিৎসা চলছে। মাস কয়েক আগে তিনি লন্ডনে গিয়ে বড় ডাক্তার দেখিয়ে এসেছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থাকতে সংবিধানে কোনও বাধা নেই। কিন্তু মানসিক অসুস্থ ব্যক্তি সরকারি পদে থাকতে পারেন না। নীতীশের উচিত হবে স্বেচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসা করানো।