Date : 13th May, 2025 | Call 1800 452 567 | [email protected]
রোহিতের সঙ্গে একই দিনে অবসর নিতে চেয়েছিলেন বিরাটবিদেশি দূতদের অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা দিল বাহিনী, গরহাজির চিন, তুরস্কপুত্র সুখ হল না, পুত্র শোক হয়ে গেল: সন্তানের মৃত্যুতে দিলীপ ঘোষইরফান বলেছিল সোমবারে উপোস করবে, শিবের বার তো: স্ত্রী সুতপামার্দাস ডে-তে আমার জন্য উপহার আনল ছেলে, সেদিন ওকে থাকতে বললাম আমার কাছে, কিন্তু...: রিঙ্কুসংঘর্ষ বিরতি নিয়ে মোদীকে আক্রমণ নয়, বিরোধীদের আর্জি মেহবুবার, রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার আহ্বানপরিচালকদের পর প্রযোজকদের ‘একাংশ’র বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’ ফেডারেশনের?ছেলের স্বপ্ন ছিল আমার সঙ্গে থাকার, ক'দিন পরই নিয়ে আসতাম, তার আগেই সব শেষ: হাহাকার রিঙ্কুরঅস্ট্রেলিয়া সফর মানেই যেন আতঙ্ক! সিরিজ শেষেই অবসর, তালিকায় কিংবদন্তিরাএস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছিল পাকিস্তান, তার সামনে দাঁড়িয়েই ছবি তুললেন মোদী
BJP MP on Supreme Court

'সব কিছুতে আদালতে গেলে, বন্ধ করা হোক সংসদ!' সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ

Advertisement

এক্স-এ করা পোস্টে এবং পরে সংবাদ সংস্থাগুলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'যদি সুপ্রিম কোর্টকে আইন তৈরি করতে হয়, তাহলে সংসদ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।'

'সব কিছুতে আদালতে গেলে, বন্ধ করা হোক সংসদ!' সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ

নিশিকান্ত দুবে (ফাইল ছবি)

Advertisement

শেষ আপডেট: 20 April 2025 07:38

দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করছে সুপ্রিম কোর্ট, শনিবার এই অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টই যদি আইন তৈরি করতে চায়, তাহলে দেশে আর সংসদের কোনও প্রয়োজন নেই।

এক্স-এ করা পোস্টে এবং পরে সংবাদ সংস্থাগুলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'যদি সুপ্রিম কোর্টকে আইন তৈরি করতে হয়, তাহলে সংসদ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।'

বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ‘ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫’-এর কিছু ধারা নিয়ে শুনানি চলছে। আদালত ওই আইনের একটি বিতর্কিত ধারা—‘ইউজার দ্বারা ওয়াকফ’—নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যার উত্তরে কেন্দ্র জানায়, তারা পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই ধারাগুলি কার্যকর করবে না। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৫ মে। এরই মাঝে বিজেপি সাংসদের এহেন বক্তব্যে স্বভাবতই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

গোড্ডার চারবারের সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, শীর্ষ আলাদত তার সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করছে। বলেন, 'আদালত সংসদের তৈরি আইন বাতিল করে দিচ্ছে, এমনকি রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিচ্ছে, যিনি আবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করেন। আইন তৈরি করা সংসদের কাজ—এই কথা সংবিধানের ৩৬৮ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে। আদালতের কাজ হল সেই আইনের ব্যeখ্যা দেওয়া।'

এনিয়ে তাঁর প্রশ্ন, 'আপনারা নিয়োগকারীকে (রাষ্ট্রপতি) নির্দেশ দিতে পারেন? রাষ্ট্রপতি তো ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। সংসদ এই দেশের আইন তৈরি করে। আপনারা বলবেন সংসদ কী করবে?'

নিশিকান্ত দুবে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট দেশের ধর্মীয় যুদ্ধের জন্য দায়ী।'

এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালতের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংসদের দাওয়াই, 'সুপ্রিম কোর্ট তার সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। যদি সব কিছুতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়, তাহলে সংসদ ও বিধানসভাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হোক।'

ওয়াকফ প্রসঙ্গ তুলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রশ্ন রাখেন, কেন ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ বিষয়ে কোনও প্রামাণ্য নথি চাওয়া হচ্ছে না। তিনি উদাহরণ দেন রাম মন্দির মামলার, যেখানে আদালত দলিলের প্রমাণ চেয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। অতীতেও আদালতের কয়েকটি রায়—যেমন সমকামিতাকে বৈধ ঘোষণা করা বা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬(এ) ধারা বাতিল করা—কে বিচার বিভাগের ‘অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন সাংসদ।

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়—সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ‘বিচারিক হস্তক্ষেপ’ (Judicial Overreach) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সম্প্রতি। সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতিকে একটি সময়সীমার মধ্যে বিলে স্বাক্ষর করার নির্দেশ দিয়েছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় উপরাষ্ট্রপতি বলেন, 'এই দেশ কি এমন এক গণতন্ত্র যেখানে বিচারপতিরা আইনপ্রণেতা, নির্বাহী এবং সুপার পার্লামেন্ট হিসেবেও কাজ করবেন?' তিনি রাজ্যসভায় বলেন, 'একটি রায় এসেছে, যেখানে রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? দেশে কী হচ্ছে?' এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তারই মাঝে নিশিকান্ত দুবের এই মন্তব্য বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

কংগ্রেস নেতা ও প্রবীণ আইনজীবী সলমন খুরশিদ এনিয়ে বলেন, 'একজন সাংসদ যদি সুপ্রিম কোর্ট বা কোনও আদালতের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের বিচারব্যবস্থায় শেষ কথা সরকারের নয়, সুপ্রিম কোর্ট। এটা যদি কেউ না বোঝে, তবে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।'

বরিষ্ঠ আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, 'সংসদে কোনও আইন পাস হলে রাষ্ট্রপতি তাতে সই করে কার্যকর করেন। আমি নিশিকান্ত দুবেকে জিজ্ঞাসা করতে চাই—ধরুন সংসদ কোনও বিল পাস করল, আর রাষ্ট্রপতি সেটায় সই না করে বছরের পর বছর ফেলে রাখলেন, তাহলে কি সেটা বৈধ হবে?'

সিনিয়র কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, 'ওরা শীর্ষ আদালতকে দুর্বল করতে চাইছে। সংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি, মন্ত্রী, বিজেপি সাংসদরা সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে কথা বলছে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বলছে, কোনও আইন যদি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর বিরুদ্ধে যায়, তবে আমরা তা মেনে নেব না।'

Advertisement

Advertisement


ভিডিও স্টোরি