শেষ আপডেট: 25th July 2024 17:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুকান্ত মজুমদারের পর এবার নিশিকান্ত দুবে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্ব পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ টেনে বড় দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
এদিন সংসদে নিশিকান্তর দাবি, "বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের কারণে বাংলা ও বিহারের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে যাচ্ছে। তাই বাংলা ও বিহারের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক।" একই সঙ্গে এনআরসি লাগু করারও দাবি জানিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। নিশিকান্তর কথায়, "তা না হলে হিন্দুদের অস্তিত্বই থাকবে না"।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্ত এদিন সংসদে বলেন, পশ্চিমবাংলার মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এবং বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার এই তিন জেলায় হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। এমনকী বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মালদহ ও মুর্শিদাবাদের গ্রামের গ্রাম খালি করে দিচ্ছে বলেও সংসদে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরই বাংলা ও বিহারের এই পাঁচ জেলাকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, "লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে বিজেপি দিশেহারা হয়ে গিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদের তাস খেলতে চাইছে। এই জিনিস বাংলার মানুষ বরদাস্ত করব না।"
কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিএমের আইনজীবী নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, "ভোটের সময়ও বিজেপি উগ্র হিন্দুত্বের জিগির তুলেছিল। এখনও সেই চেষ্টা জারি রেখেছে। আসলে দেশের মানুষের প্রধান সমস্যাগুলি সমাধান না করে নজর ঘোরাতে এসব বলা হচ্ছে।"
যদিও নিশিকান্ত দুবের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "উনি ঠিক কথায় বলেছেন। তাই তো বাংলা সীমান্তের ৭২টি জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতার লাগাতে অনুমতি দেয়নি মমতার সরকার।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, "আমার অসমে ৪০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা। যেভাবে অনুপ্রবেশ বাড়ছে তাতে আগামীদিনে হিন্দুদের থাকাটাই দুরূহ হয়ে উঠবে।" হিমন্ত এও বলেছিলেন, "এটা আমার রাজনৈতিক ইস্যু নয়, মরণ বাঁচনের লড়াই।"
সংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে সংসদের আইডি ও লগইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন এই নিশিকান্তই।