শেষ আপডেট: 1st February 2024 19:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে সার্ভাইকাল ক্যান্সার। সার্ভিক্স তথা জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের পোশাকি নাম সার্ভাইকাল ক্যান্সার। সম্প্রতি এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অন্তর্বর্তী বাজেট ঘোষণাতেও উঠে এস মেয়েদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধের বিষয়টি। নির্মলা ঘোষণা করেন, সার্ভাইকাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সরকার ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের এবার থেকে টিকা নিতে উৎসাহ দেবে।
কবে থেকে এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে, কোন পদ্ধতিতে টিকা দেওয়া হবে, এ বিষয়ে এদিন বিস্তারিত কিছু বলেননি নির্মলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার পর কেন্দ্র যে এ ব্যাপারে তৎপর হতে চাইছে, সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
হু এর মতে, ভারতের মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৭০ শতাংশ মহিলার সার্ভাইকাল ক্যান্সার পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ, স্তন, ফুসফুস এবং মলাশয়ের ক্যান্সারের পর, সার্ভাইকাল ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এ ছাড়াও এদিনের অন্তর্বর্তী বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য আরও ঘোষণা রয়েছে। যেমন, এক, আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় স্বাস্থ্য বিমা পাওয়ার সুযোগ সমস্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পাবেন।
এই প্রসঙ্গে উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও রূপালি বসু বলেন, ‘সমস্ত আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আয়ুষ্মান ভারতের আওতাভুক্ত করার ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সার্ভাইকাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার ও টিকাদানের মতোই এই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভারতীয় মহিলাদের দ্বিতীয় সর্বাধিক ক্যান্সার, যা সঠিক সময় চিহ্নিত করা হয় না।‘
দুই, বর্তমান পরিকাঠামো ব্যবহার করে আরও বেশি সংখ্যায় মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলবে সরকার। তিন, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য সমস্ত প্রকল্প এক ছাতার তলায় আনা হবে।
চার, ইউ-উইন প্ল্যাটফর্মকে সার্বজনীন টিকাকরণের জন্য ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এবং পাঁচ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে উন্নীত করে সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিণত করা হবে যাতে শিশুদের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে তারা আরও সহায়ক ভূমিকা নিতে পারে।