সুত্রের খবর, একই পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজ করার সময় একটি অস্থায়ী কুঁড়েঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং তুমুল বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। কুঁড়েঘরের উপর বাজ এসে পড়লে তিন মহিলার মৃত্যু হয়।
ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 17 May 2025 09:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওড়িশায় (Orisha) বজ্রপাতে (lightning) বিভিন্ন জেলায় নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। তাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। ঝড় জলে জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ওড়িশায় এবার এই প্রথম বজ্রপাতে এত মানুষের প্রাণ গেল। গতমাসে বজ্রপাতে মৃত্যুতে গোটা দেশের নজর কেড়েছিল বিহার (Bihar)। সেখানে দু-তিনদিনের ব্যবধানে প্রায় ৪৫ জন মারা যান। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশ (enviranment) ও জলবায়ুর (climate) পরিবর্তনের ফলে বজ্রপাত বেড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশেও এবার বজ্রপাতে মৃত্যু আলোচনার বিষয় হয়েছে।
ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা কোরাপুট (Koraput), গঞ্জাম (Ganjam), গজপতী (Gajapati) এবং ঢেঙ্কানল (Dhenkanol) জেলার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতের দুর্যোহে কোরাপুট জেলার লক্ষ্মীপুর থানা এলাকার পারিদিগুড়া গ্রামে বজ্রপাতে তিন মহিলার মৃত্যু হয়। সেখানে একজন বৃদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুত্রের খবর, একই পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজ করার সময় একটি অস্থায়ী কুঁড়েঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং তুমুল বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। কুঁড়েঘরের উপর বাজ এসে পড়লে তিন মহিলার মৃত্যু হয়।
সেখানে নিহতরা হলেন ব্রুধি মান্ডিঙ্গা (৬০), তাঁর নাতনি কাসা মান্ডিঙ্গা (১৮) এবং অম্বিকা কাশী (৩৫)। ব্রুধি এবং কাসা মান্ডিঙ্গা পারিদিগুড়ার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়।
অন্যদিকে, জাজপুর জেলার ধর্মশালা এলাকায় কালবৈশাখীর বজ্রপাতে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম তারে হেমব্রম (১৫) এবং টুকুলু চত্তার (১২)। তাদের বাড়ি জেনাপুর থানা এলাকার বুরুসাহি গ্রামে।
৬৫ বছর বয়সি হিঙ্গু মান্ডিঙ্গা নামে আরেকজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হন এবং তাকে লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
গঞ্জাম জেলার কবিসূর্যনগর ব্লকের বারিদা গ্রামে বজ্রপাতে ওম প্রকাশ প্রধান নামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় ২৩ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনিও আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হন। ওডিশা সরকার জানিয়েছে, মৃতদের দেহের ময়না তদন্তের পর ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।