শেষ আপডেট: 25th October 2024 12:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি মাসেই খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। তাঁর খুনের দায়ভার নিয়েছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে যাবতীয় কারসাজি করেছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল। তাকেই এবার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ঘোষণা করল এনআইএ। আনমোলের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে।
বাবা সিদ্দিকি হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে মূল শ্যুটার যে ছিল, সে পলাতক। তার হদিশ পাওয়ার জন্যই আরও তৎপর হয়ে উঠেছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে এনআইএ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় ফেলল। তার বিরুদ্ধে খুন, হুমকি দেখানো, জালিয়াতির মতো একাধিক অভিযোগ তো আছেই, বাবা সিদ্দিকির হত্যার ঘটনাতেও তার নাম এসেছে।
পঞ্জাবের সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গে আনমোলের যোগ ছিল। এছাড়া সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনাতেও তিনি যুক্ত বলেই প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। এই অবস্থায় এনআইএ আনমোলের মাথার দাম ঠিক করে দিল। কেউ তার কোনও খোঁজ দিতে পারলেই পেয়ে যাবে ১০ লক্ষ টাকা। বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর তার ছেলে জিশানকেও মারা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এতে সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে লরেন্সের ভাইয়ের বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই যত দ্রুত সম্ভব তার খোঁজ পেতে চাইছেন তাঁরা।
তদন্তে নেমে দিন কয়েক আগেই পুলিশ জানতে পারে, প্রাক্তন মন্ত্রীকে খুনের পাশাপাশি তাঁর ছেলেকেও খুনের ছক কষেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। খুনের সুপারিও দেওয়া হয় দু'জনেরই। কিন্তু কপাল জোরে বেঁচে যান জিশান। যে ছবি ফোনে খুঁজে পায় পুলিশ, তা স্ন্যাপচ্যাট নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে এসেছিল। এই অ্যাপ ব্যবহার করেই খুনে জড়িত বার্তাও শেয়ার করা হয়েছিল। যদিও তা দেখার পরই ডিলিট করে দেওয়া হয়। অনুমান, এই মুহূর্তে আমেরিকা বা কানাডা থেকে সক্রিয় রয়েছেন আনমোল।