শেষ আপডেট: 29th January 2025 19:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দু'দিনের বাচ্চার চিকিৎসায় গাফিলতি। দেওয়া হল মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্লুকোজ। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর। অভিযোগের তির নার্স ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে এরাজ্যের স্যালাইন কাণ্ডের মিল পাচ্ছেন।
উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের রাধা সিং ২৭ জানুয়ারি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বাড়িতেই জন্ম নেয় শিশুটি। ২৮ তারিখ বাচ্চাটি দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোক। ভর্তি করা হয় স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির লোককে জানানো হয় বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয়েছে। তড়িঘড়ি রেফার করা হয় লখনউতে।
অ্যাম্বুল্যান্স আসে। বাচ্চাটিকে নিয়ে লখনউয়ের উদ্দেশে যান পরিবারের সকলে। রাস্তাতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। মৃত্যু হয় তার।
পরিবারের অভিযোগ, বাচ্চাটিকে ভর্তি নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দেয়নি ওয়ার্ডে উপস্থিত নার্সরা। পাশাপাশি একটি ফ্লুইড ব্যবহার করা হয় চিকিৎসায়। যা মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল।
শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারের লোকজন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৃতের কাকা জানান, একটি গ্লুকোজ শিশুটিকে দেওয়া হয়েছিল, যার বোতল দেখে বোঝা যায় সেটি মেয়াদউত্তীর্ণ। এক দুদিন নয়, মেয়াদ পেরিয়েছে ২০২৪ সালের মে মাসে। এই নিয়ে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভে মেয়াদ উত্তীর্ণ বোতল শিশুর হাতে বেঁধে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়রাও তাতে যোগ দিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পিলিভিটের চিফ মেডিক্যাল অফিসার অলোক কুমার। একটি কমিটি তৈরি করে দেন। পরে প্রীতি জয়সওয়াল ও পুষ্পা মিশ্রা নামের দুই নার্সকে সাসপেন্ড করা হয়।
কিছুদিন আগে এরাজ্যের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতিদের মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাকিদের ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের খবর সামনে আসার পর স্যালাইন কাণ্ডের সঙ্গে মিল পেলেন অনেকে।