Date : 13th May, 2025 | Call 1800 452 567 | [email protected]
ছেলের স্বপ্ন ছিল আমার সঙ্গে থাকার, কয়েকদিন পরই নিয়ে আসতাম, তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল: সন্তান হারানোর আর্তি রিঙ্কুরঅস্ট্রেলিয়া সফর মানেই যেন আতঙ্ক! সিরিজ শেষেই অবসর, তালিকায় কিংবদন্তিরাএস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছিল পাকিস্তান, তার সামনে দাঁড়িয়েই ছবি তুললেন মোদীশাহরুখের ছবিতে এই গানটি গাওয়ার কথা অভিজিতের, রাতারাতি নিজের 'নামে' করে নেন অনু মালিকহাওড়ায় মাকে খুন হতে দেখে চিৎকার শিশুকন্যার, পুলিশ এসে গ্রেফতার করল বাবা ও দাদাকেহাঁসফাঁস গরমেও খুচরো বাজারে স্বস্তি, খুশি মধ্যবিত্তরা, ৬ বছরে সর্বনিম্ন মূল্যবৃদ্ধিচারদিনে এক মঞ্চে দু'বার শরদ-অজিত, দুই এনসিপি'র মিশে যাওয়ার জল্পনা মহারাষ্ট্রেসব ধর্ষকের কঠিন সাজা হোক! এই বার্তা দিতেই দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভারত ভ্রমণে বেরিয়েছেন বাবাFake Passport Case: বাংলায় জাল পাসপোর্টের ব্যবসা থেকে পাকিস্তানি আজাদের রোজগার ৫০ কোটি! আদালতে বড় দাবি ইডিরCJI: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না অবসর নিলেন, বুধে দায়িত্ব নেবেন গাভাই
Pahalgam Terror Attack Retaliation

Pahalgam: পাকিস্তানের মুখ ভেঙে দিক দিল্লি, এখন এটাই চাইছে ভারত

Advertisement

পহলগামে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হানার জবাবে সন্ত্রাসবাদকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেব বলে বৃহস্পতিবার কীসের ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?

Pahalgam: পাকিস্তানের মুখ ভেঙে দিক দিল্লি, এখন এটাই চাইছে ভারত

জনমত মোদীর পালেই হাওয়া দিচ্ছে।

Advertisement

শেষ আপডেট: 24 April 2025 19:27

শুভেন্দু ঘোষ

পহলগামে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হানার (Pahalgam Terror Attack) জবাবে সন্ত্রাসবাদকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেব বলে বৃহস্পতিবার কীসের ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? কাশ্মীরে ধর্ম বেছে বেছে ২৬ জনের গণহত্যার কী ভাষায় জবাব দিতে চলেছে, তারই ইঙ্গিত সর্বদল বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) কণ্ঠে শোনা গেল বলে মনে হচ্ছে। কারণ, পাকিস্তানই এই নারকীয় জঙ্গি হামলার (Pakistan) নেপথ্য নায়ক বলে দেশের মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস। এ সিদ্ধান্তে বিরোধী দল কংগ্রেস সহ মোটামুটি বিরোধী দলগুলির প্রায় সকলেই একমত। এবং তার থেকেও বড় কথা হচ্ছে, এই অবস্থায় ভারত পাকিস্তানকে সমুচিত, মুখ ভেঙে দেওয়া জবাব দিক বলে জনমত মোদীর পালেই হাওয়া দিচ্ছে (India Pakistan Conflict)।

এদিন বিহারের মধুবনীতে গিয়ে মোদী বলেন, ভারত পৃথিবীর শেষ কিনারা পর্যন্ত জঙ্গিদের পিছু ধাওয়া করবে। হিন্দিতে ভাষণ দিতে দিতে হঠাৎই ইংরেজিতে মোদী বলেন, pursue the terrorists to the end of the earth। আচমকা মোদীর এরকম বলার কারণ হল, এই বার্তা যেন আন্তর্জাতিক স্তরেও পৌঁছে যায়। ২০০১ সালে আমেরিকায় ওসামা বিন লাদেনের আল কায়েদা জঙ্গিরা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১ হামলা চালানোর পর জর্জ ডব্লিউ বুশ ঠিক এই ধরনেরই হুঙ্কার দিয়েছিলেন। এমনকী ইজরায়েলে হামাস জঙ্গিদের হামলার পরেও সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, জঙ্গিদের গর্ত থেকে টেনে বের করে মারব। বৃহস্পতিবারও মোদীর মুখে প্রায় একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল। 

মোদীর (Narendra Modi) এই ভাষায় জঙ্গি ও তাদের মদতদাতা পাকিস্তানকে হুমকির কারণই হল, এই মুহূর্তে দেশবাসীর মনের কথা হল প্রতিশোধ নিতে হবে, বদলা চাই। বিরোধী দল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিও সরকারের যে কোনও পদক্ষেপে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে দিয়েছে। সে কারণে রাজনৈতিক বিভিন্নতার ঊর্ধ্বে উঠে পাকিস্তানই যে নাটের গুরু সে বিষয়ে আজ কারও দ্বিমত নেই। এমনকী ভারত প্রত্যাঘাত করবেই, এটা ধরে নিয়ে এদিন সকাল থেকে ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও। অর্থাৎ, ভারতবাসীর মনোভাব আঁচ করতে পেরে সামান্য হলেও আতঙ্কে রয়েছে পাকিস্তানও।

ভারতে এ পর্যন্ত যতগুলি জঙ্গি হামলা হয়েছে তার প্রতিটির পিছনে পাকিস্তানের হাত ছিল। এমনকী শুধু কাশ্মীর নয়, খলিস্তানি জঙ্গিদেরও অর্থ-অস্ত্র জোগান দিয়েছিল পাকিস্তান। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বা তাদের চর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ না থাকলেও (যেমন পহলগাম হামলাতেও তেমন প্রমাণ মেলেনি) পাকিস্তানের মাটিতেই মিশে আছে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রের শিকড়। আর সে প্রমাণ কয়েকশো বার দিয়েছে নয়াদিল্লি।

লস্কর-ই-তোইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো দলগুলির মূল ঘাঁটিই হল পাকিস্তান। তাদের নেতারা রাজার হালে থাকে সেখানে (এমনকী জেলেও)। সেখান থেকেই তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংগঠন পরিচালনা করে। আমেরিকা, রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ ইউরোপীয় বহু দেশই তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের জমি ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যকলাপ কোনওদিন থামেনি।

৯/১১ হামলায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর আমেরিকা আল কায়েদাকে নিকেশের শপথ নেয়। তারপর থেকে সিআইএ-র নেতৃত্বে লাগাতার হানাদারি চালিয়ে লাদেনকে হত্যা করেছিল মার্কিন এলিট বাহিনী। লাদেনের পর দলে দায়িত্বভার নেওয়া আল জাওয়াহিরি ঘাপটি মেরে ছিল আফগানিস্তানের কাবুলে। আমেরিকায় সরকার বদলের পরেও তাকে ছাড়েননি জো বাইডেনও। কাবুলে নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাকে খুন করে আমেরিকা। 

একইভাবে ইজরায়েলের ক্ষেত্রেও হামাস জঙ্গিরা সেদেশে ঢুকে রিসর্টে হামলা চালায় যাতে মৃত্যু হয় বহু বিদেশির। পণবন্দি করে আরও অনেককে। তারপর ইজরায়েলের চর সংস্থা মোসাদের নেতৃত্বে সেদেশের এলিট বাহিনী প্যালেস্তাইনের গাজায় ঢুকে সুড়ঙ্গে ঢুকে খতম করে হামাসের চিহ্ন। লেবাননে একদিনে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদকে ভয়ে চুপসে দিয়েছিল সেই মোসাদ বাহিনীই। এখনও হামাসপন্থী হুতি জলদস্যুদের সঙ্গে আমেরিকার নিত্য সংঘর্ষ চলছে।

সুতরাং, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতকেও এই অবস্থায় এমন কিছু করে দেখাতে হবে যাতে পাকিস্তানকে ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি জঙ্গি তালিম শিবির এবং তামাম জঙ্গি সংগঠনের মাথাগুলিকে ভেঙে দেওয়া যায়। দেশবাসীর প্রতি সরকারের আস্থা ও বিশ্বাস জাগিয়ে রাখতে যা একান্ত জরুরি মোদীর কাছে। ফলে জঙ্গি সংগঠন লস্কর কিংবা জয়েশ শুধু নয়, পাকিস্তানকেও শিক্ষা দিতে চায় সমগ্র ভারতবাসী।

Advertisement

Advertisement


ভিডিও স্টোরি