কোকাকোলা, পেপসি, নেসলে
শেষ আপডেট: 12th November 2024 20:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের মতো নিম্ন আয়ের দেশে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করছে নেসলে, পেপসি এবং ইউনিলিভারের মতো সংস্থা। এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল খাদ্য নির্মাণকারী সংস্থাগুলি।
অ্যাকসেস টু নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ (এটিএনআই)-এ প্রকাশিত গ্লোবাল ইনডেক্সে এই সব বহুজাতিক সংস্থার বিক্রি করা পণ্যগুলি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে দেওয়া 'হেলথ রেটিং সিস্টেম'-এ কম স্কোর পেয়েছে বলে অভিযোগ।
রেটিং সিস্টেমের নিয়ম রয়েছে ৩.৫ এর উপর স্কোর পেলে খাদ্য পণ্যগুলোকে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলির ক্ষেত্রে সেই গড় স্কোর ৫-এর মধ্যে ২.৩। আর নিম্ন আয়ের দেশগুলির ক্ষেত্রে তা আরও খারাপ, ১.৮।
সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট সূত্রে খবর এটিএনআই ৩০টিরও বেশি দেশে বিক্রি হওয়া খাদ্যপণ্যের মূল্যায়ন করেছে। এই প্রথমবারের মতো নিম্ন এবং উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে আলাদা আলাদা করে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
গবেষণার পরিচালক মার্ক উইজেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলির সরকারের কাছে খাদ্য নিরাপত্তার মান সম্পর্কে আরও সতর্ক এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটা খুব স্পষ্ট যে সংস্থাগুলো বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলিতে বেশি সক্রিয়। সেখানে তারা যা বিক্রি করছে, তা মোটেই স্বাস্থ্যকর পণ্য নয়।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বা হু-এর মতে স্থূলতায় আক্রান্ত ১০০ কোটি মানুষের মধ্যে ৭০%-রও বেশি, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাস করেন। এইসব অস্বাস্থ্যকর পানীয় অতিরিক্ত সেবন করলেই এই স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অনুসারে, ভারতে ১৫-৪৯ বছর বয়সী প্রায় ২৪% পুরুষ এবং ২৪% মহিলা অতিরিক্ত ওজনের শিকার। শহরাঞ্চলে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও বেড়ে চলেছে এই সমস্যা। শহুরে এলাকায় প্রায় ৫-৮ শতাংশ শিশুরাই স্থূলতার শিকার। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই স্থূলতার বিরুদ্ধে 'ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট' এবং 'ইট রাইট ইন্ডিয়া' ক্যাম্পেইন করছে।