টপারদের সংখ্যা কমে গেছে নিট রিটেস্টে - প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 2 July 2024 10:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিট নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে এই পরীক্ষায় ৬৭ জন টপ করেছিলেন। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেস নম্বর পাওয়া পরীক্ষাদের আবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এবার দেখা গেল, টপারদের সংখ্যা কমে গেছে। কোনও পরীক্ষার্থী গ্রেস মার্কস নিয়ে পাওয়া তাদের আগের নম্বর ছুঁতে পর্যন্ত পারেননি।
গত ২৩ জুন দ্বিতীয়বারের জন্য এই পরীক্ষা নিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ। ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর নিট পরীক্ষা বাতিল করেছিল আদালত। তাঁদের 'অতিরিক্ত নম্বর' পাওয়ার কারণে ফের নিট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বসেননি প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়া। ১,৫৬৩ জনের মধ্যে কেবল ৮১৩ জন পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষার ফল বেরতেই দেখা গেল, বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী ৬৮০-এর ওপর নম্বর পেলেও তাদের আগের মার্কসের ধারে কাছে যেতে পারেনি।
প্রথমবারের পরীক্ষায় ৬ জন ৭২০-তে ৭২০ পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন রি-টেস্ট দিয়েছিল। তারা ৭০০ মার্কসও টপকাতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, নিট নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা এই ফলপ্রকাশের পর আরও বেড়ে গেল। কার্যত প্রমাণ হয়ে গেল গ্রেস মার্কস নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার সারবত্তা রয়েছে।
নিট পরীক্ষার ফল বেরোনোর পরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মেঘালয়, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাত এবং ছত্তীসগঢ়ের মোট ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, ওই ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ১৪০ মার্কস পর্যন্ত গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই অনেকে ফুল মার্কস পেয়ে যান। এই নিয়েই দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়।
রি-টেস্টের পরে দেখা গেছে, বিতর্কিত ওই কেন্দ্রগুলির মধ্যে থেকে চণ্ডীগড় কেন্দ্রে ২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেননি। ওদিকে ছত্তিশগড়ে ৬০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৯১ জন পরীক্ষা দেন। হরিয়ানার দুটি কেন্দ্র মিলিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৮৭ জন, যা আগের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। মেঘালয়ের ৪৬৪ জনের মধ্যে রি-টেস্ট দিয়েছিলেন ২৩৪ জন। গুজরাটে পরীক্ষায় বসেন মাত্র ১ জন।