শেষ আপডেট: 29th January 2025 19:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে প্রায় ২০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। এবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হল ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। আর কমপক্ষে ৬০ জন গুরুতর আহত। যদিও রয়টার্স সূত্রে খবর, ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।
প্রয়াগরাজ পুলিশের তরফে ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনকে চিহ্নিত করাও সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। বাকি ৫ জনের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স অবশ্য জানিয়েছে,
• রাজ্য পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৩০ জন বলে জানিয়েছে।
• পুলিশের তিনটি সূত্র জানিয়েছে যে প্রায় ৪০টি মৃতদেহ মর্গে আনা হয়েছে পদপিষ্টের ঘটনার পর।
• মৃতদের মধ্যে কিছুজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এমনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
• পদপিষ্টের ঘটনা সেই সময়ে ঘটেছিল যখন ভক্তরা পবিত্র স্নান করার জন্য নদীতে নামতে ভিড় করেছিলেন।
• প্রশাসন আশা করেছিল যে এদিনে ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) মানুষের উপস্থিতি হবে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের জনস্রোত বইতে থাকে পুণ্যস্নানের উদ্দেশে। মধ্যরাতে এক সময়ে ভেঙে পড়ে ব্যারিকেড। হুড়োহুড়ির জেরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ অবশ্য দাবি করেছেন, পদপিষ্টে যারা গুরুতর আহত হয়ে এখন চিকিৎসাধীন, তাঁরা কেউই আশঙ্কাজনক নন, প্রত্যেকে বিপন্মুক্ত।
পদপিষ্টের ঘটনার পরে গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সংযোগস্থল ত্রিবেণী সঙ্গম কার্যত খালি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার দুপুরের কিছু পর আবার সেখানে একে একে যেতে শুরু করেন সাধু-সন্ন্যাসী, ভক্তরা। পুণ্যস্নানও শুরু হয়েছে। এর মাঝেই এল মৃতের সংখ্যার খবর।
কুম্ভমেলায় এমন দুর্ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মেলার ইতিহাস বলছে, এর আগেও পুণ্যস্নানে এসে পদপিষ্ট হয়েছেন বহু মানুষ। ১৯৫৪ সালের প্রথম কুম্ভমেলা থেকে ২০২৫, তালিকাটা খুব একটা ছোট নয়। এর আগে ১৯৮৬, ২০০৩, ২০১৩ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলা প্রাঙ্গনে এর আগে আগুন লেগেছিল। ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। এবার পদপিষ্টের ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যু! গোটা বিষয় নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। ধর্মস্থানে 'ভিআইপি কালচার'-এর প্রসঙ্গ তুলে নিশানা করা হয়েছে মোদী সরকারকে।