ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানায়, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী ১৪২ কোটি টাকা বেআইনিভাবে লাভবান হয়েছেন।
রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধী। ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 21 May 2025 13:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানায়, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী ১৪২ কোটি টাকা বেআইনিভাবে লাভবান হয়েছেন। ন্যাশনাল হেরাল্ডের অর্থ নয়ছয় মামলার শুনানিতে এদিন সরকারি তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করার আগে পর্যন্ত অভিযুক্তরা প্রসিডস অফ ক্রাইমের সুবিধা ভোগ করেছেন।
আদালতে ইডির আরও দাবি, অভিযুক্তরা কেবলমাত্র অর্থ তছরুপ করেছেন তাই নয়, তাঁরা এটা দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে গিয়েছেন। ন্যাশনাল হেরাল্ডের মামলায় সনিয়া ও রাহুল ছাড়াও স্যাম পিত্রোদা, সুমন দুবে ও অন্যদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের প্রাথমিক তদন্ত প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।
ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় আসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL) এবং ইয়ং ইন্ডিয়া (Young India) সংস্থার ৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা ২০০৮ সাল থেকে ছাপা বন্ধ। ২০১৭ সালে পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন চালু হয়। ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিতে ‘নবজীবন’ এবং উর্দুতে ‘কওমি আওয়াজ’-এরও অনলাইন ভার্সন প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে চালু হওয়া ন্যাশনাল হেরাল্ড কংগ্রেসের রাজনৈতিক মতাদর্শকে পাথেয় করে চলে।
পত্রিকাটির মালিক এজিএল। সেই সংস্থার সঙ্গে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ নামে সংস্থার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ঘিরে রাজনীতি এক সময় সরগরম হয়েছিল। বেআইনি পথে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি। তদন্তে ওই সংস্থা প্রাক্তন দুই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করে। বর্তমানে বন্ধ ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সম্পত্তির হাত বদলেই বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে ইডির অভিযোগ।