শেষ আপডেট: 20th August 2024 12:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মঙ্গলবার স্পষ্ট বললেন, 'দেশ আরও একটা ধর্ষণের ঘটনার অপেক্ষা করবে না'। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং প্রশাসনকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির শুরু থেকেই রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, দেশের চিকিৎসক মহলের ওপর বারবার যে হামলার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে চিন্তিত শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কথায়, ''চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁরা যেন সহজেই হামলার শিকার হচ্ছেন। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, তাই দেশ আরও একটা ধর্ষণের ঘটনার অপেক্ষা করবে না কিছু পরিবর্তন আনার জন্য।'' এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এই টাস্কফোর্স ডাক্তারদের নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত নিয়মবিধি রূপায়ণে একটি সুপারিশ জমা দেবে।
সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এদিন এই শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। মহিলা এবং পুরুষ চিকিৎসকদের পৃথক বিশ্রামাগার ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য আলাদা আলাদা করতে হবে। এছাড়া নার্সের আলাদা আলাদা রুম দিতে হবে। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের রিপোর্টও তলবও করেছে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি এদিন একাধিক প্রশ্ন তোলেন। জানতে চান, ঘটনার দিন প্রিন্সিপাল কী করছিলেন? এফআইআর করা হয়নি কেন? বাবা-মায়ের হাতে মৃতার দেহ তুলে দিতে এত দেরি হল কেন? পুলিশ কী করছিল? হাসপাতালের মতো জায়গায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সবাই কী করছিল, প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কলকাতা পুলিশ তদন্তভার নেওয়ার পর এখন সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে। সেই প্রেক্ষিতে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।