শেষ আপডেট: 23rd October 2024 19:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাঁচ বছর পর ভারত ও চিনের রাষ্ট্র প্রধানদের মধ্যে বৈঠক হল বুধবার। রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকসের বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিনের বৈঠক হয়। ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ব্রিকসের দুই সদস্য দেশের শীর্ষ কর্তা সম্মেলনে হাজির ছিলেন তাই শুধু নয়, মোদী-শি বৈঠকের সম্ভাবনাকে বিবেচনায় রেখে দুই দেশের শীর্ষস্তরের আধিকারিকেরা হাজির ছিলেন কাজানে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, গোটা বিশ্বে শান্তি ও প্রগতির জন্য ভারত ও চিনের সু-সম্পর্ক অত্যন্ত জরুরি। আর আঞ্চলিক বিশেষ গুরুত্ব তো আছেই। সেই বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সীমান্তে সংঘাত এড়িয়ে শান্তি বজায় রাখাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর পর আমাদের মধ্যে সরকারিভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল।
তৃতীয় দেশে হলেও মোদী-শি বৈঠক এমন সময় হল যখন সীমান্ত বরফে ঢাকা পড়ার আগে দুই দেশ নজরদারিতে সমন্বয়ের বিষয়ে সহমত হয়েছে। মোদী কাজান রওনা হওয়ার আগেই পররাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, ভারত ও চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তাদের বাহিনীর টহল ও নজরদারি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সহমত হয়েছে।
২০২০-তে চিন ও ভারতীয় সেনার সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। যদিও সেনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা অব্যাহত ছিল। অফিসার ও সেনা পর্যায়ে আশানুরূপ অগ্রগতি হওয়ার পর বেজিং ও নয়া দিল্লি শি-মোদীর বৈঠকের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেয়।
চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় সীমান্ত নিয়ে বৈঠকের সাফল্যকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বলেছেন পারস্পরিক আস্থা, সম্মান এবং একে অপরের স্পর্শকাতরতাকে অনুভব করাকেই আমরা দু-দেশের সম্পর্ক রক্ষা ও উন্নয়নে দিশা বলে মনে করি।
শি-মোদী বৈঠক নিয়ে বরফ গলার ইঙ্গিত মঙ্গলবারই মিলেছিল। দুই নেতাই মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে পুতিনের দেশে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সম্মেলন উপলক্ষে পুতিনের দেওয়া নৈশভোজ শুরুর আগে তিন নেতা ছিলেন খোসমেজাজে। নৈশ ভোজেও পুতিনকে মাঝখানে রেখে মোদী-শি কথা হয়। এক ফ্রেমে তিন নেতার ছবি বুধবার সকাল থেকেই ভারত ও চিনে ভাইরাল হয়ে যায়। সন্ধ্যার আগেই শি ও মোদী তাঁদের প্রতিনিধি দল নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু করেন। এর আগে ব্রিকস (ব্রাজিল-রাশিয়া-ভারত-চিন-দক্ষিণ আফ্রিকা-র বোঝাপড়ার মঞ্চ)-এর ভাষণে মোদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন। বলেন, যুদ্ধ নয়, ভারত আলোচনায় বিশ্বাস করে।